সংগীত জগতের ‘রাইকিশোরী’। তাঁর কণ্ঠে কীর্তন যেন আলাদাই মাত্রা পায়। এই ধারার সঙ্গীতের একজন গায়কের নাম আগে মাথায় আসে। তিনি আর কেউ নয় অদিতি। অদিতির মুন্সিয়ানা বারে বারে ভক্তি রসে বুঁদ করেছে বাঙালি শ্রোতাকে। হরি নাম এখন সংকীর্তনের নতুন নক্ষত্র। জনপথে এককালে শ্রীচৈতন্য যা করতেন ইতিহাসে এখন অদিতি তাই করেন তবে নিজস্ব ঢঙে। তাঁর গানের সুরে বর্তমান প্রজন্ম হাতে গিটার না ধরেই অঙ্গ ভঙ্গির সঙ্গেই হাত তুলে হরি বল, হরি বল করে। প্রাচীন রিতি ভেঙে নতুন রুপ দেন আর এখানেই তাঁর মুন্সীয়ানা।
অদিতি গান গাওয়ার পাশাপাশি পুজো করতেও বেশ ভালোবাসেন। করোনা আবহে এবার কোনো তারকার বাড়িতেই বিশেষ আড়ম্বরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে না। একই চিত্র ধরা পড়লো রাইকিশোরীর বাড়িতেও। সবার মতোই তিনিও ঘরোয়া আমেজে ধনদেবীর আরাধনার আয়োজন করেছিলেন। অদিতি একটি সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রত্যেক বছরই তাঁর বাড়িতে বড় করেই লক্ষ্মী পুজো হয়, অনেক লোকজন আসেন। তবে এবার করোনার জন্য সব পন্ড। তবে পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হয়নি।
অন্যবার মা লক্ষীকে লাল বেনারসী পড়ানো হয়। কিন্তু এবছর মাকে অন্যভাবে সাজালেন অদিতির শ্বাশুড়ি মা। নীল বেনারসীতে মাকে সজ্জিত করা হল। প্রত্যেকবার সাজানোর দায়িত্বটা শ্বাশুড়ি সামলান এবছর তার অনথা হয়নি। শুধু বৌমার পছন্দ মতো সাজানো হয়েছে।
গায়িকার বিয়ের আগে বাপের বাড়িতে পুজো হত, কিন্তু কোনো চালের ভোগ হতনা। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নানানরকম ভোগ রান্না করে দেওয়া হয়। অন্যান্য বছর কাজের চাপে অল্প রান্না করলেও লুচি, পায়েস,নাড়ু নিজেই রান্না করলেন। সপরিবারে গৃহলক্ষীর নিষ্ঠাচারে আরাধনা করলেন।