বাংলা বিনোদন জগৎ থেকে সমাজমাধ্যম- সব জায়গাতেই ‘ঠোঁটকাটা’ পরিচয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। নানা সময়ে নানা মন্তব্য করে সমালোচনার কেন্দ্রে থাকেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে শ্রীলেখা কেমন ছিলেন? কেমন ছিল তার পূর্ব-বিবাহিত জীবন? এই প্রশ্ন অনুরাগীদের মনে প্রায়ই জাগে। যে মহিলা এতটা স্বাধীনচেতা, তার বিবাহিত জীবন নিশ্চয়ই এরকমই ছিল, এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু শ্রীলেখার কিছু কথা ফিকে করে দেয় প্রচলিত এই ধ্যানধারণাকেও।
১৯ বছর আগে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র ও শিলাদিত্য স্যন্যাল। দু-বছর পর জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে ঐশীর। কিন্তু তারপর ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুজনের। তারপর থেকে আর বিয়ে করেননি শ্রীলেখা। একাই থাকেন মেয়েকে নিয়ে। আর তার এই বিবাহিত জীবন নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেন, তিনি নাকি শ্বশুরবাড়িতে ‘বউ বউ’ হয়ে থাকতেন। করতেন বাড়ির সব কাজকর্ম, হাতে পরতেন শাঁখা-পলা, কপালভর্তি করে পরতেন সিঁদুরও। যদিও পরবর্তীকালে তার স্বামী তাকে এসব পরতে বারণ করে বলে জানান শ্রীলেখা। তিনি বলেন, ‘শিলাদিত্য ছিল সাউথ ক্যালকাটার ছেলে। ওর আউটলুক ছিল অন্যরকম। আর আমি দমদম ক্যান্টনমেন্টের মেয়ে। একটা মেয়ে যে ভৌগলিক অবস্থানে বেড়ে ওঠে সেরকমই তো হয়।’
কিন্তু প্রাক্তন স্বামী-সংসারকে কি এখনো মিস করেন শ্রীলেখা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি আর এগুলো নিয়ে সেভাবে ভাবতে চাই না। একটা সময় অনেকটা ভেবে কাটিয়েছি। এখন মনে হয়, ওটা হয়নি বলে আমি অনেককিছু পেয়েছি, যেটা হয়তো পেতাম না। এই শক্তি, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস.. এগুলো বেড়েছে’। এছাড়াও স্যন্যাল বাড়ির সঙ্গে যে এখনও সুসম্পর্ক রয়েছে তার, সেটি নিজের মুখে স্বীকার করেন শ্রীলেখা। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্মদিনে আমার দেওর এসেছিল এবারে। মজা করে বললাম, এক্স দেওর বলব কি না! ওরা এখনও আমাকে বৌদি বলে ডাকে। কাগজে-কলমে সই করলেই তো আর সব অস্বীকার করা যায় না’।
প্রসঙ্গত, বিয়ের ১০ বছর পর ডিভোর্স হয় শ্রীলেখা এবং শিলাদিত্যর। তারপর থেকে আর ঘর বাঁধেন নি অভিনেত্রী। মেয়েকে বড় করে তোলাই যে ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। সম্প্রতি ১৭ বছরে পা দিল শ্রীলেখা কন্যা ঐশী। তার জন্মদিন বেশ হইহুল্লোড় করেই পালন করলেন শ্রীলেখা। উপস্থিত ছিলেন স্যন্যাল পরিবারের অনেকেই।
View this post on Instagram