একসঙ্গে প্রায় সাতটি ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন ‘বাহুবলী’ খ্যাত এই জনপ্রিয় জুটি প্রভাস এবং অনুষ্কা শেট্টি। প্রভাস-অনুষ্কা জুটির প্রথম ছবি হল ‘মিরচি’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে। এর আগেই ২০০৯ সালে ‘বিল্লা’ ছবিতে ফের তাঁরা জুটি বাঁধেন যা বেশ জনপ্রিয় হয়। প্রায় ১৫ বছর ধরে পরস্পরকে চেনেন তাঁরা। পরিচালক এস এস রাজামৌলির ‘বাহুবলী’ সিরিজের শ্যুটিং চলাকালীন তাঁদের মধ্যে তৈরি হওয়া নিবিড় সম্পর্কের একটি গুজব শোনা গিয়েছিল। দু’জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন একাধিকবার। কিন্তু এই জুটি শুধু বন্ধুত্বের মোড়কে তৈরী করেছেন।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে প্রভাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের গভীরতা কতটা তা ব্যাখা করতে গিয়ে ‘বা দেবসেনা বলেন, প্রভাসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গত ১৫ বছরের। অভিনেতা অভিনেত্রীর খুবই কাছের বন্ধু। এখন এদের বন্ধুত্বটা যে এতটাই মিষ্টি জায়গায় তাতে তিনি অভিনেতাকে যেকোনও সময়, যখন তখন ফোন করতে পারেন। এমনকি রাত ২টো হলেও প্রভাস সাথে সাথে ফোন তুলে কথা বলেন। অনুষ্কা প্রভাসকে ভোর ৩টের বন্ধু বলে আখ্যা করেন।
দর্শক তাঁদের এই প্রিয় জুটিকে প্রাণুষ্কা। এদের প্রেমের কথা বারবার অস্বীকার করলেও ইন্ডাস্ট্রির অনেকে গুঞ্জন করা বন্ধ করেনি। এর প্রধান কারণ এদের কারোর এখনো বিয়ে বা বাগদান কিছুই হয়নি যে। এদিকে প্রভাস দেখতে সদ্য ৪১ পার করে ফেলেছেন অন্যদিকে অনুষ্কার পার করে ফেলেছেন ৩৮ বছর। দুজনেই যে এখনো সিঙ্গেল। কবে যে মিঙ্গেল হবে অধীর আগ্রহে ফ্যানরা।
যদিও এই জুটি সত্যি প্রেম করেও থাকে তাও এদের বিয়েতে সিনেমার প্রেক্ষাপটের মতো নানা সমস্যায় পড়তে হবে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রভাস-অনুষ্কা নাকি তাঁদের পরিবারের কারণেই বিয়েটা করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে রিয়েলেও পরিবারই মূল সমস্যার কারণ।
আসল কারণটা খোলসা করে বলা যাক। প্রভাসের পরিবার ভীষণই রক্ষণশীল মনোভাবের। তাঁরা কখনোই অনুষ্কাকে প্রভাসের স্ত্রী হিসাবে মেনে নেবেন না। এমনকি অনুষ্কার বদলে কোনোদিন অন্য কোনো মেয়েকে মানবেনা। কারণ প্রভাসের পরিবার ‘লাভ ম্যারেজ’-এরই বিরোধী। বিশেষ করে প্রভাসের বাবা এবং কাকা দুজনেই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের পক্ষে।। আর প্রভাস তাঁর বাবা ও কাকার খুব কাছের ও ভালোবাসার পাত্র। তাই বাবা কাকার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি কখনওই অনুষ্কাকে বা অন্য কাউকে লাভ ম্যারেজ করতে পারবেন না। তাহলে কি এই প্রিয় জুটি কখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসবেনা। প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে থেকে যাচ্ছে।