Bengali SerialHoop PlusTollywood

Sandip Chowdhury: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র সন্দীপ চৌধুরী

2023 সাল আবারও যেন বয়ে নিয়ে এল বিষাদ। বছরের গোড়ায়, 3 রা জানুয়ারি বিনোদন জগতে আবারও ঘটল নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট প্রযোজক ও পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক প্রয়াণ ঘটে তাঁর। প্রযোজক ও পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)-র পুত্র ছিলেন সন্দীপ। ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের কাছে তাঁর পরিচয় ছিল ‘বাবুদা’ নামে। ইন্ডাস্ট্রির হাতেগোনা সেই মানুষগুলির মধ্যে সন্দীপ ছিলেন অন্যতম, যাঁরা প্রতিভাকে চিনতে পারতেন।

অঞ্জনবাবুর অবর্তমানে মূলতঃ সন্দীপের হাত ধরেই চলছিল তাঁদের পারিবারিক প্রযোজনা সংস্থা। নির্মাতা হিসাবে কেরিয়ারের শুরু থেকেই একাধিক হিট ধারাবাহিক বাংলার দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সন্দীপ। সাম্প্রতিক কালে সন্দীপের প্রযোজনায় তৈরি ধারাবাহিক ‘ফেরারি মন’ কালার্স বাংলায় লাগাতার চ্যানেল টপার ছিল। ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকটির নির্মাতাও ছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক কালে অফ এয়ার হয়েছে তিন বোনের গল্প নিয়ে তৈরি ‘উড়ন তুবড়ি’। মঙ্গলবার সন্দীপের অকাল প্রয়াণে বিনোদন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এখনও কলাকূশলীদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাঁদের প্রিয় ‘বাবুদা’ নেই। অনেকেই বলছেন, এই তো সেদিন মেসেজ করেছিলেন। অনেকে কয়েকদিন আগেই ফোনে কাজের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন তাঁর সাথে।

মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) পরবর্তী যুগে প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে ইন্ডাস্ট্রির হাল ধরেছিলেন অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)। একের পর এক হিট ফিল্ম টলিউডকে উপহার দিয়েছেন তিনি। অন্দর মহলের কাহিনী নিয়ে তৈরি ছিল কিছু ফিল্ম যেগুলি শহুরে দর্শকদের পাশাপাশি গ্রামীণ দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছিল। অঞ্জনবাবুর নির্মিত অধিকাংশ ফিল্ম ছিল ব্লকবাস্টার। তাঁর হাত ধরেই অভিনয়ে এসেছিলেন বহু নতুন প্রতিভা। অভিনেত্রী হয়েছিলেন তাঁর দুই কন্যা চুমকি (Chumki Chowdhury) ও রীনা (Reena Chowdhury)-ও। কিন্তু সন্দীপ বেছে নিয়েছিলেন প্রযোজনা ও পরিচালনাকে।

2007 সালে প্রয়াত হন অঞ্জন চৌধুরী। গত বছর 21 শে অগস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ও চুমকি-রীনা-সন্দীপের মা জয়শ্রী চৌধুরী (Jayshree Chowdhury)। এবার অকালে চলে গেলেন সন্দীপ। দাদার মৃত্যুতে কার্যতঃ মানসিক ভাবে ভেঙেপড়েছেন চুমকি ও রীনা।

Related Articles