এই ফিল্মের শুটিং শেষ করে ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) বলেছিলেন, তিনি জীবনের সবচেয়ে সাহসী ফিল্মের শুটিং করলেন। শিবপ্রসাদ (Shibaprashad) তাঁর ডেডিকেশনের প্রশংসা করেছিলেন। ফিল্মের নাম ‘ফাটাফাটি’। ঋতাভরী বরাবর তাঁর ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় পেতেন। সবসময় কড়া ডায়েট মেনে চলতেন তিনি। পাশাপাশি বাদ যেত না ওয়ার্কআউট। কিন্তু ‘ফাটাফাটি’-তে ঋতাভরীকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ তিনি একজন প্লাস সাইজের মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বরাবর ছকভাঙা চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন ঋতাভরী। এক বছরে তাঁর চারটে ফিল্ম হয়তো রিলিজ করে না। কিন্তু দুই বছরে একটি ফিল্ম রিলিজ করলেও তা দর্শকদের নজর কেড়ে নেয় তাঁর অভিনয় দক্ষতার কারণে। যথেষ্ট বাছাই করে কাজ করতে পছন্দ করেন ঋতাভরী। উইন্ডোজ নির্মিত ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি’ ফিল্মে মহিলা পুরোহিতের ভূমিকায় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার দীর্ঘ কয়েক বছর পর ঋতাভরী আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন প্লাস সাইজ মডেলের চেহারায়, ‘ফাটাফাটি’-র মাধ্যমে। এই ফিল্মে ঋতাভরী তুলে ধরবেন স্থুলকায়া মহিলাদের কষ্ট যাঁদের সমাজে প্রতিনিয়ত চেহারার কারণে অপমানিত হতে হয়। হীনমন্যতায় ভুগে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরতে লজ্জা পান তাঁরা।
‘ফাটাফাটি’-র জন্য সত্যিই বেশ কিছুটা ওজন বাড়াতে হয়েছিল ঋতাভরীকে। এই ফিল্মের শুটিং শুরুর আগে ঋতাভরীর অস্ত্রোপচার হয়। ফলে তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ‘ফাটাফাটি’-তে প্লাস সাইজ মহিলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেই বর্ধিত ওজন না কমিয়ে প্রায় পঁচিশ কিলো ওজন বাড়িয়েছিলেন ঋতাভরী। ডায়েট পরিবর্তন করে নিয়মিত ভাত, মিষ্টি খেতেন তিনি। সুস্থ থাকার জন্য সামান্য ওয়ার্কআউট করলেও ওজন যাতে না কমে সেদিকে ছিল তাঁর কড়া নজর। শিবপ্রসাদ জানিয়েছেন, এই ফিল্মের জন্য নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েছিলেন ঋতাভরী। কারণ যিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁর ওজন হঠাৎই বেড়ে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
করোনাকালে ‘ফাটাফাটি’-র শুটিং শুরু হয়েছিল। লকডাউনের ফলে পিছিয়ে গিয়েছিল শুটিং। ফলে ঋতাভরীকে তাঁর মোটা চেহারাই ধরে রাখতে হয়েছিল। ‘ফাটাফাটি’-তে ঋতাভরীর বিপরীতে অভিনয় করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)।
View this post on Instagram