শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) বরাবর স্পষ্টকথনের জন্য বিখ্যাত। কিছুদিন আগেই ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে সরাসরি অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে নিয়ে যেন কুরুচিকর খবর পেশ না করা হয়। কারণ তাঁরও সতের বছরের মেয়ে রয়েছে। এবার শ্রীলেখা তাঁর মাংস না খাওয়ার কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের সম্মুখীন হলেন। তবে ট্রোলারকে একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি।
এই ঘটনারও সূত্রপাত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেই। সেখানে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রীলেখা বলেন, বহুদিন মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি শ্রীলেখার মেয়ে মাইয়া ভেজিটেরিয়ান। শ্রীলেখার বাড়িতে মাংস আসে তাঁর সন্তানসম সারমেয়দের জন্য। তিনি বলেন, আজকাল বেসিনের মধ্যে একটি পিঁপড়ে থাকলেও জলের কল খুলে ফেললে শ্রীলেখা তাকে সরি বলেন। এটা তিনি ন্যাকামি মনে করেন না। কারণ তিনি প্রাণীহত্যা মানতে পারেন না। পাশাপাশি শ্রীলেখা বলেন, একসময় এই তিনিই দারুণ মাটন রান্না করতেন। শ্রীলেখার মাংস না খাওয়ার কথা বলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই অভিনেত্রীকে নেটিজেনদের একাংশ ট্রোল করতে শুরু করেছেন।
একজন লিখেছেন, কচি ছেলেদের মাথা চিবিয়ে খাওয়া যার নেশা, তার কাছে মাংস খাওয়া বিলাসিতা মাত্র। এই পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে ওই ট্রোলারকে একহাত নিতে ছাড়েননি শ্রীলেখা। ওই নেটিজেন তাঁকে ‘কমরেড শ্রীলেখা মিত্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। পাল্টা শ্রীলেখাও লেখেন, দিদির চামচারা কি শিক্ষিত! তবে শ্রীলেখা প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র সমালোচনা করে থাকেন।
কিন্তু মাংস না খাওয়া বা প্রাণীহত্যা পছন্দ না করার কমেন্টকে ট্রোল করে ওই নেটিজেন অবশ্যই দোষ করেছেন। তবে তাঁর ট্রোলের উত্তর দিতে গিয়ে অযথা মমতাকে টানা ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও মমতা নিজেও কিন্তু মাংস খান না। তিনিও প্রাণীহত্যা পছন্দ করেন না।