মডেলিং দুনিয়া দিয়েই যাত্রা শুরু বিপাশা বসুর। এর পরপরই বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী। ২০০১ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘আজনবী’। তার পরের বছর করেন ‘রাজ’। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে শ্যামলা বাঙালি মেয়ে। একদিকে যেমন ক্যারিয়ারের উত্থান ঘটে অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনকেও একটা আলাদা মাত্রায় নিয়ে যান অভিনেত্রী। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সেই সময়ে বলিউডের হ্যান্ডসাম অভিনেতাদের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে ফেলেন, যার মধ্যে অন্যতম হলেন জন আব্রাহাম। দিনো মরিয়া সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জিসম ছবি দিয়ে জন আব্রাহামের সঙ্গে আলাপ হয় বিপাশার। একে অপরের প্রেমে মশগুল হয়ে যান। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই দুই জুটিকে দর্শকরা খুব সুন্দর ভাবে একসেপ্ট করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত ২০১১ তে তাদের মধ্যে পুনরায় ব্রেকআপ হয়।
বিপাশা বসুকে তার ব্রেকআপ এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে কোন ব্রেকআপ স্টোরি আনন্দের হতে পারে না অর্থাৎ কোনো ব্রেকআপ স্টোরি সুখকর হয়ে উঠতে পারে না, হ্যাঁ নিশ্চয়ই কোনও কারণ ছিল এই ব্রেকআপ হওয়ার পেছনে। বিকাশ এমন কি এও বলেছিলেন যে তিনি টানা বেশ কয়েক বছর যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে ছিলেন। কখনো চিৎকার করতেন কখনো বিচ্ছিন্ন হওয়ার মনোভাব এসেছিল।
জন আব্রাহামের সঙ্গে বিপাশা বসুর লিভ ইন করতেন। তাই যতটা কাছে এসেছিলেন ততটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন। বিপাশা বসু একাধিকবার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি জন আব্রাহামের সঙ্গে থেকে একাকীত্বতা ভুগছিলেন এবং তিনি নিজেকে পরিতক্ত ফিল্ করতেন।
অবশেষে বং বিউটি গাঁটছড়া বাঁধেন ২০১৬ তে তাও আবার ‘অ্যালোন’ ছবির সহকর্মী কর্ণ সিংহ গ্রোভারের সঙ্গে। এই অভিনেতার অবশ্য এটি তৃতীয় বিয়ে। বর্তমানে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন বিপাশা বসু ও কর্ণ সিংহ। গুঞ্জনে আসছে খুব সম্ভবত সন্তান দত্তক নিতে চলেছেন।