বাংলা বিনোদন জগতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। তবে শুধু বাংলায় সীমিত থাকেনি যার অভিনয়ের মাধুর্যতা, ক্রমেই রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন আরব সাগর পাড়ের স্বপ্নের শহরে। গোটা দেশে তিনি জনপ্রিয় রামানন্দ সাগরের ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয়ের জন্যই। তার জীবন্ত চরিত্রায়ণ তোকে স্থান দিয়েছিল ভারতীয় দর্শকদের মনের বৈকুণ্ঠে। দ্রৌপদী চরিত্রে কখনো সজল-কোমল, কখনো আবার দ্বীপ্ত অভিনয় মন জয় করেছিল দর্শকদের। কিন্তু এই রঙিন কেরিয়ারের মাঝেও অভিনেত্রীকে সামনা করতে হয়েছিল এক অন্ধকার যুগের।
সাগর ফিল্মসের তৈরি ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী চরিত্র অভিনেত্রীকে যেমন এনে দিয়েছিল দেশজোড়া খ্যাতি, তেমনই আবার এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বাস্তব জীবনে ভাঙন ধরেছিল তার সংসারে। আর এই নিয়ে একটা আক্ষেপ তালে জীবনভর বয়ে বেড়াতে হয়েছে বিগত সময়েও। যেন সবটা পেয়েও কিছু একটা অধরা থেকে গিয়েছিল জীবনে। চরিত্রায়নে মন দিয়ে যেন সংসারটাই তার করা হয়ে ওঠেনি সেভাবে। কি এমন ঘটেছিল রূপার জীবনে? দেখে নিন বিস্তারিত।
সালটা তখন ২০০৭। দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে শোনা গিয়েছিল বিচ্ছেদের সুর। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে অভিনেত্রীর। তার কারণটা একমাত্র তার দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয়। জানা গেছে, ১৯৯২ সালে পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব মুখার্জীর সঙ্গে বিয়ে হয় অভিনেত্রীর। কিন্তু ২০০৭-থেকেই আলাদা হন তারা। ২০০৯ সালে আইনত বিচ্ছেদ ঘটে এই দম্পতির। ব্যয়ে ভাঙার পর কলকাতায় চলে আসেন অভিনেত্রী। শোনা যায়, বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে চেয়েছিলেন টেলি-পর্দার দ্রৌপদী।
তবে সেসব সময় এখন অতীত তার জীবনে। অভিনয় বা সংসার ছেড়ে একটা সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। সেখান থেকে প্রতিদিন সভা সমিতি, দলীয় কাজেই ব্যস্ত রাখতেন নিজেকে। তবে সেই জীবন থেকে বিরতি নিয়ে এখন আবার ধারাবাহিকে ফিরেছেন রূপা। ‘মেয়েবেলা’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে এখন তাকে দেখা যাচ্ছে ছোট পর্দায়।
View this post on Instagram