Saregamapa: তুমুল জনপ্রিয় হয়েও ‘সারেগামাপা’-য় পঞ্চম স্থান পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বুলেট
রবিবার সমাপ্তি ঘটেছে জি-বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সারেগামাপা-২০২৩’-এর। গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে পৌঁছেছিলেন ৬ সেরা প্রতিযোগী। তাদের মধ্যে এবার সেরার সেরাকে বেছে নিলেন বিচারকরা। ফিনালে পর্বের শুরুতে চাঁদের হাট দেখে যেমন দর্শকদের মনে উন্মাদনা ছিল চরমে, তেমনই আবার পর্ব শেষে একরাশ আক্ষেপ ও ক্ষোভ জমল সকলের মনেই। কারণ একটাই- ফলাফল। ‘সারেগামাপা-২০২৩’-এর ফলাফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ দর্শকরা। রাগে ফুঁসছেন উত্তরবঙ্গবাসীরাও।
রবিবার মধ্যরাত থেকেই সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে ঘুরছে নানান পোস্ট। জি-বাংলার পোস্টেও দেখা যাচ্ছে অনেকের কমেন্ট। সকলেই চেয়েছিলেন আলবার্ট কাবো চ্যাম্পিয়ন হোক। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। বিচারকদের চোখে সেরার সেরা হয়েছেন পদ্মপলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। তবে সাধারণ দর্শক মোটেই তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পক্ষে কথা বলেনি। সেই তালিকায় ছিল আলবার্ট, তারপরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল আরেক শিল্পী বিমান বুলেট। সুদূর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ইসলামপুর থেকে এসে সারেগামাপায় নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন বুলেট। সমস্ত ধরণের গানেই পারদর্শী সে। কিন্তু শেষমেষ পঞ্চম স্থানে থেকেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে হল তাকে। এই বিষয়ে তার মনের অবস্থা কেমন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মনের অবস্থা ব্যক্ত করেছেন বিমান বুলেট। তিনি জানিয়েছেন যে টানা এক একমাস সময় তিনি সকলের সঙ্গে ভালোভাবেই কাটিয়েছেন। আর সেইসব ভালো স্মৃতি নিয়েই তিনি বাড়ি ফিরেছেন। আশা থাকলেও তার পূরণ না হওয়ার আক্ষেপ সেখানে ম্লান হয়েছে বিমানের কাছে। তার কথায়, “যা হয় ভালোর জন্যই হয়। যেটা হয়েছে খুব ভালো হয়েছে।” বুলেট আরো জানান, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে টপ সিক্সে নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছিলাম। এত প্রতিযোগীর ভিড়ে নিজের জায়গা করতে পেরেছি শ্রোতাদের মনে। আমাকে নিয়ে দর্শকের অনেক প্রত্যাশাই হয়তো পূরণ করতে পারিনি, তবে তা ভবিষ্যতে নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করব।”
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের এই শিল্পী এতদিন স্বাধীন এক গায়ক হিসেবে কাজ করতেন। নিজেই গান লিখে, কম্পোজ করে গাইতেন। তবে ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চে তিনি গেয়েছেন নানা ঘরানার গান। আর সবেতেই বেশ সাবলীল রূপে দেখা গেছে এই উদীয়মান গায়ককে।
View this post on Instagram