Saregamapa: যে গানটি গেয়ে বিজয়ীর শিরোপা পেয়েছেন পদ্মপলাশ
শেষ হয়েছে বাংলার সবথেকে বড় মিউজিক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা-২০২৩’। গত রবিবারই ছিল গ্র্যান্ড ফিনালে। আর এই রবিবার বিচারক থেকে গুরু এমনকি মেন্টরদের নিজেদের সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ করে সেরার সেরা শিরোপা জিতে নেয় পদ্মপলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। দুজনেই যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। একজনের কণ্ঠে যেমন শোনা গিয়েছিল ভক্তিগীতি, তেমনই আবার অন্যজন নিজেকে সব ধরণের গানে সাবলীল করে তুলেছেন গোটা সিজন জুড়ে।
কিন্তু এই ফলাফল মানতে নারাজ দর্শকদের একাংশ। কারো মতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য নয় পদ্মপলাশ ও অস্মিতা কেউই। তবে বেশীরভাগ অভিযোগের তির গেছে পদ্মপলাশের দিকেই। কারণ তিনি আবার পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র। এই মর্মে অনেকেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন। অনেকেই বলেছেন, এমন কীর্তন গেয়েই কি তাহলে ‘সারেগামাপা’ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এই গায়ককে বরাবর ভক্তিগীতি গাইতে দেখা গেছে এই শোয়ের মঞ্চে। ফাইনালেও তার অন্যথা হয়নি। বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার মিশেলে প্রস্তুত একটি গণেশ বন্দনা গেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন পদ্মপলাশ। আর এই কারণেই তার দিকে উঠছে নানা আঙুল।
তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ পদ্মপলাশের আরেক গুরু তথা ‘শ্রুতিনন্দন’-এর শিক্ষক অনল চক্রবর্তী। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে পদ্মপলাশের সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করে লেখেন, ‘পদ্মপলাশ আজ থেকে বারো বছর আগে যখন আমার কাছে গান শিখতে এসেছিল ওর বাবার সঙ্গে, সে দিনই লক্ষ্য করেছিলাম, খুব ভালো সাঙ্গীতিক বীজ তো ওর মধ্যে আছেই, সাথে আছে আরও কতগুলো বিশেষ গুণ। যে গুণগুলো মানুষকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায়। সেগুলো হলো শ্রদ্ধা, বিনয়, সরলতা, বিচক্ষণতা আর পরিমিতি বোধ ।’
প্রসঙ্গত, এই সিজনে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন মোট ৬ জন- পদ্মপলাশ হালদার, অস্মিতা কর, আলবার্ট কাবো, সোনিয়া গাজমের, বিমান বুলেট সরকার ও ঋদ্ধিমান বিশ্বাস। এবারে বিচারকের আসনে ছিলেন শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মা এবং শ্রীকান্ত আচার্য। গুরুর আসনে ছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এছাড়াও মেন্টর হিসেবে ইমন চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রথিজিৎ ভট্টাচার্য এবং মিস জোজোকে দেখা গিয়েছিল। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। গ্র্যান্ড ফিনালের দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমার শানু এবং সোনু নিগম।