Tourism: দু-একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বের ‘মিনি মালদ্বীপ’ থেকে
কলকাতা থেকে দু একদিনে ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মালদ্বীপ থেকে অনেকেই হয়তো ভুরু কুঁচকে ভাবছেন যে দু-একদিনের ছুটিতে মালদ্বীপ যাবেন কি করে? কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার বাড়ির কাছেই রয়েছে ‘মিনি মলদ্বীপ’ অর্থাৎ মলদ্বীপের মতন বেশ ফাঁকা ফাঁকা একটা উইকেন্ড ডেসটিনেশন বা হানিমুন ডেস্টিনেশন বলতে পারেন ফাঁকা জায়গায় নিজের মনের মানুষের সঙ্গে যদি দুদণ্ড সময় কাটাতে চান, আর সেটা যদি হয় তাহলে তো বিষয়টা একেবারেই মন্দ হয় না।
তবে আর দেরি না করেই জেনে নিন আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন কোথায় কলকাতা থেকে 140 কিলোমিটার দূরেই আছে হেনরি আইল্যান্ড। এটিকে আপনি মিনি মালদ্বীপ দিয়ে বলতে পারেন তবে যারা নিন্দুক আছে তারা নিশ্চয়ই খুঁত খুজে বেড়াবেন কিন্তু কাছে পিঠে যদি একটু মালদ্বীপের মতো ফিলিংস পেতে চান, তাহলে হেনরি আইল্যান্ড আপনার জন্য এক্কেবারে উপযুক্ত। ধর্মতলা থেকে বাসে করে অথবা প্রাইভেট কারেতে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে জেটি ঘাট স্টপে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে ইটের রাস্তা ধরে খানিকটা এগিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন হেনরি আইল্যান্ডে।
যারা ট্রেনে করে যেতে চান তারা শিয়ালদা করে ট্রেনে যেতে হবে নামখানা সেখান থেকে হাতানিয়া দোয়ানিয়া দিয়ে নদী পেরোতে হবে, এই নদী বেরোনোর অভিজ্ঞতা কিন্তু অসাধারণ তারপরে ভ্যানে করে সোজা পৌঁছে যেতে হবে গন্তব্যে। এখানে গেলে স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে নানান রকম গল্প শুনতে পারবেন গেলে জানতে পারবেন ব্রিটিশ আমলে এই দ্বীপে নাকি এক সাহেব এসেছিলেন। তিনি নাকি এখানে এমন সুন্দর সভ্যতাকে তৈরি করেছিলেন, তাইতো তার নামানুসারেই এই আইল্যান্ডের নাম হয়েছে হেনরি আইল্যান্ড।
বঙ্গোপসাগরের ধারে এমন নিরিবিলি জায়গা খুব কম দেখা যায়, আমাদের চোখের সামনে বেড়াতে যাওয়ার জায়গা বলতেই সবার আগে যে জায়গাটি ভেসে ওঠে সেটি হল দীঘা। তবে বর্তমানে দীঘায় এত বেশি মানুষের আগমন হয়, তখন আর ভালো লাগে না, তাই একান্তে যদি নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাহলে বলবো হেনরি আইল্যান্ড আপনার জন্য ভীষণ উপযুক্ত একটা জায়গা।
কপাল ভালো থাকলে দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়ার দলকে, এছাড়াও শামুক ঝিনুকে পরিপূর্ণ বালিয়াড়ি। রিসোর্ট থেকে রাস্তা কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাঁশের সেতুতে মিশেছে আর সেইখানেই রয়েছেন এখানে গেলে। এখানে গেলেই দেখতে পারবেন কাদার মধ্যে ঢুকে রয়েছে শ্বাসমূলেরা সুন্দরী, গরান এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
ম্যানগ্রোভ ছাড়াও এখানের অন্যতম আকর্ষণ হল মাছের ভেড়ি, যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন তারা কিন্তু এখানে গিয়ে মাছ খেতে ভুলবেন না। এছাড়া শীতকালে এমন সময় অনেক দূর দূরান্ত থেকে পড়ে যায়, পাখিদের আগমন হয় হেনরি আইল্যান্ডে তাই যারা পাখি ভালোবাসেন তারা কিন্তু এই ধরনের দেশ-বিদেশের পাখিকে ক্যামেরা বন্দী করতে একেবারেই ভুলে যাবে না।
হেনরি আইল্যান্ড এর কাছে পিঠে ঘুরে আসতে পারেন, বকখালি বা কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে সরাসরি বকখালিতে এসে মাত্র তিন কিলোমিটার পরে হেনরি আইল্যান্ডে পৌঁছতে পারেন এখানে ভ্যান রিক্সা সহজেই পাওয়া যায়। বাড়ি করে যান অথবা ট্রেনে করে অথবা বাসে করেছি কোন ভাবেই হেনরি আইল্যান্ডে পৌঁছে যান সপ্তাহান্তে পরিবারের সাথে নিয়ে অথবা মনের মানুষকে সাথে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একেবারে আপনার উপযুক্ত ডেস্টিনেশন হেনরি আইল্যান্ড।