Haimanti Ganguly: মাত্র ২৫০০ টাকার বিনিময়ে এই কাজটি করতে রাজি ছিলেন হৈমন্তী!
রাজ্যের আকাশে বাতাসে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ‘হৈমন্তী রহস্যের’ গন্ধ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সামনে এসেছে তার নাম। পুরো নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। তিনি সাক্ষীগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ধাঙ্গিনী। খোদ তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ জেরায় তার নাম নিয়েছেন এই দুর্নীতি মামলায়। এখন এই মহিলার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুঁদে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে পরিষ্কার হচ্ছে এই মহিলার পরিচয় ও যোগসূত্র। আর এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এই মহিলার সম্পর্কে।
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে বিনোদন জগতের একটা যোগসূত্র ছিল, তা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে এই যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল, তার উত্তর খুঁজতে মরিয়া গোয়েন্দারা। আর সেই খোঁজ চালাতে হানা দেওয়া হয় তার বাপের বাড়িতে, যেখানে রহস্য আরো বেশি করে ঘনীভূত হতে থাকে। কারণ জিজ্ঞাসাবাদে হৈমন্তীর বাবা-মা স্বীকার করেন যে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয় মেয়ের। কিন্তু তারা জানান যে মেয়ে ও জামাইয়ের ডিভোর্স হয়ে যায় এবং তাদের দুজনের সঙ্গেই নাকি সেভাবে যোগাযোগ ছিল না তাদের। এদিকে এই জবানবন্দির বিপরীত কথা বলেন প্রতিবেশীরা। তাদের মতে, নিয়মিত গভীর রাতে বাড়ি আসতেন হৈমন্তী দেবী এবং দামি গাড়ি থেকেই নেমে ঢুকে যেতেন সবার অলক্ষে। আর এই দুরকম বয়ান আরো বেশি করে রহস্যের গন্ধ ঢেলে দেয় এই মামলায়।
এরপর হৈমন্তীদেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ছবির চিত্রনাট্য উঠে আসে। জানা গেছে, পরিচালক অতনু বসুর ছবি ‘অচেনা উত্তম’-ছবির চিত্রনাট্য উদ্ধার হয় তার ফ্ল্যাট থেকে। এই ছবিতে নাকি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত– এঁদের সবার সঙ্গে একটি নার্সের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। যদিও তা হয়ে ওঠেনি শেষমেষ। কিন্তু কিভাবে যোগসূত্র তৈরি হল? এর উত্তর খুঁজতে পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন এক কাঠের মিস্ত্রী। তিনিই প্রথম হৈমন্তীর কথা জানান আমাকে। তাঁর সুপারিশেই হৈমন্তীকে ছবিতে কাজ দিই। মাত্র দু থেকে আড়াই হাজারেই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।’
তবে শেষমেষ সেই ছবিতে কাজ করা হয়ে ওঠেনি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। তার কারণটিও জানান পরিচালক অতনু বসু। তিনি বলেন যে, তাঁর সূত্রে কাজ করতে এলেও এক দিন কাজ করার পরেই নাকি প্রযোজকের কাছে অন্য পরিচালককে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন হৈমন্তী। আর সেই কারণেই কার্যত বিরক্ত হয়ে বাদ দিয়ে দেন তাঁকে।