Tourism: কয়েক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ছবির মতো সুন্দর এই স্থান থেকে
ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত তেজপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অসাধারণ একটি জায়গা হল ভালুকপুং। অরুণাচল প্রদেশের পাদদেশে অবস্থিত পর্বতমালায় ঘেরা অসাধারণ এই জায়গাটি একবার বেড়াতে গেলে মন ভালো হতে বাধ্য। অনেক মানুষের আগমন হয়, অসাধারণ নদীর চারপাশে পিকনিক করা থেকে শুরু করে যারা প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হন, তাদের কাছে তো এই জায়গাটি একেবারে স্বর্গ রাজ্যের মত।
বাণ রাজার নাতি ভালুকের এক সময় রাজধানী ছিল তাই তো এই জায়গাটির এমন অদ্ভুত। নাম এমন যতই হোক না কেনো জায়গাটি কিন্তু ভীষণ সুন্দর একবার গেলে আপনার মনে হবে জায়গাটিতে বার বার ঘুরে আসি, তাই আর দেরি না করে এবার আপনার নেক্সট ডেসটিনিশন হতেই পারে অসাধারণ এই জায়গাটি।
পাখুই ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংটুয়ারি –
২০০২ সালে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ স্যাংচুয়ারি হিসাবে এই জায়গাটিকে ঘোষণা করা হয় এই জায়গাতে রয়েছে অসাধারণ গাছপালা এখানে দেখা যায়। ৩০০ প্রজাতিরগাছপালার এখানে দেখতে পাওয়া যায় এছাড়াও রয়েছে। তাছাড়াও আছে বাঘ, চিতাবাঘ, ওয়াইল্ড ডগ, এশিয়াটিক জ্যাকেল আরো কত কি। এছাড়া হাতি, হরিণ, ইন্ডিয়ান বাইসন, সম্বর হরিণ। কাছাকাছি যদি জঙ্গলের এই পশু পাখিকে খুব কাছ থেকে দেখতে চান তাহলে এখানে রয়েছে আপনার জন্য থাকার সুবন্দোবস্ত।
সেসসা অর্কিড স্যাংচুয়ারি –
এই জায়গায় বেড়াতে গেলে এই অর্কিটের বাগানটি একবার ঘুরে আসতে পারেন এখানে প্রায় ২০০ ওপর প্রজাতির অর্কিড আছে। যা কিন্তু প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির যা দেখলে মন বেশ ভালো হয়ে যাবে যারা গাছ পছন্দ করেন, বিশেষ করে অর্কিত পছন্দ করেন, তাদের জন্য জায়গাটি তো একেবারে সর্বোচ্চ। প্রায় ১০০ স্কয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই জায়গাটি এখানে গেলে দেখতে পাবেন শুধুমাত্র অর্কিড নয়, এ ছাড়া দেখা যাবে রেড পান্ডা।
ভালুকপুর ফোর্ট –
ইতিহাসের এক অসাধারণ জায়গা হল এই দুর্গ, যারা ইতিহাস ভালবাসেন এবং বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন এই দুটো জিনিসই আপনি এই দুর্গতে গিয়ে দেখতে পাবেন, এখানে গেলে একটা অসাধারণ ঐতিহাসিক তাৎপর্য চোখে পড়বে, বারালি নদীর ধারে গড়ে উঠেছে এই অসাধারণ দুর্গটি।