BollywoodHoop Plus

Satish Kaushik: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা সতীশ কৌশিক, সামনে এল মৃত্যুর আসল কারণ

মাত্র একদিন আগেও নিজের মুম্বইয়ে হোলি খেলেছিলেন। তাঁর সর্বশেষ সোশাল মিডিয়া পোস্টে রঙিন হয়ে হাসিমুখে সকলের সাথে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এই পোস্টের পর মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)। পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, 8 ই মার্চ রাতে হঠাৎই শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করেন শুরু করেন সতীশ। দ্রুত তাঁকে নিকটবর্তী গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সতীশকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Viral Bhayani (@viralbhayani)

দিল্লি সাউথ ওয়েস্ট পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সতীশের প্রয়াণ অস্বাভাবিক নয়। মাত্র ছেষট্টি বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সতীশ। 8 ই মার্চ সকালে হোলি সেলিব্রেট করতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন সতীশ। কিন্তু তার আগে 7 ই মার্চ, জাভেদ আখতার (Javed Akhtar) ও শাবানা আজমি (Shabana Azmi)-র মুম্বইয়ের বাড়িতে হোলির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সতীশ। তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই (Santosh Rai) জানিয়েছেন, 8 ই মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সতীশ। কিন্তু রাত বারোটা দশ নাগাদ তিনি সন্তোষকে ডেকে তাঁর শারীরিক অস্বস্তির কথা বলেন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল তাঁর। এরপরেই তাঁকে দ্রুত গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

হাসপাতালের তরফে দিল্লি পুলিশকে সতীশের মৃত্যুসংবাদ জানানো হলে তাঁরা দ্রুত ফর্টিস-এ পৌঁছান। দিল্লি পুলিশের সহায়তায় অটোপসির জন্য সতীশের দেহ পাঠানো হয় দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত হওয়ার পর সতীশের পার্থিব শরীর 9ই মার্চ সকালে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুপুর তিনটে নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে মুম্বইয়ে আনা হবে সতীশের পার্থিব শরীর। বিকাল পাঁচটা নাগাদ মুম্বইয়ে সতীশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

সতীশের আকস্মিক মৃত্যুতে কার্যতঃ শোকস্তব্ধ বলিউড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করার পাশানাশি জানিয়েছেন, বিনোদন জগৎ হারাল তাদের ক্রিয়েটিভ জিনিয়াসকে। শোকস্তব্ধ অনুপম খের (Anupam Kher), জাভেদ আখতার, অনিল কাপুর(Anil Kapoor)-রা। অনিল অভিনীত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-য় ক্যালেন্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন সতীশ। ছিল অসাধারণ কমিক টাইমিং। ভার্সেটাইল অভিনেতা ছিলেন সতীশ। হাসির আড়ালে লুকিয়ে ফেলেছিলেন জ্যেষ্ঠ কন্যাসন্তানের অকালপ্রয়াণের কষ্টকে। কয়েক মাসের কন্যাসন্তান শ্বাসনালীতে দুধ আটকে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।

সতীশের ব্যক্তিগত জীবন থাকত স্পটলাইটের আড়ালে। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার প্রাক্তনী বিনোদনের সর্বস্তরে ছিলেন অনন্য। অহঙ্কার ছিল না। সকলের সাথে সমানভাবে মিশে যেতে পারতেন সতীশ। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ডিজনি প্লাস হটস্টার ওটিটির ওয়েব সিরিজ ‘কর্মযুদ্ধ’-য়। পূর্ণ করে গিয়েছেন ‘এমার্জেন্সি’-র শুটিং। এই ফিল্মে তাঁকে দেখা যাবে জগজীবন রামের চরিত্রে। সতীশের আকস্মিক প্রয়াণে পৃথিবীর বুকে কমে গেল আরও একটি সৎ মানুষ যিনি স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি তা রূপ দিতে জানতেন। রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী শশী (Sashi) ও এগারো বছরের কন্যাসন্তান বংশিকা (Vanshika)। রেখে গেলেন হাজার স্মৃতি। নক্ষত্রলোকে চলে গিয়েছেন সতীশ। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফে তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আন্তরিক সমবেদনা।

Related Articles