whatsapp channel

Mimi Chakraborty: কি কারণে ইঞ্জেকশন নিতে হতো মিমিকে!

ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে রয়েছে এক অদ্ভুত মিথ। নায়িকা হতে গেলে তাঁকে নাকি রোগা হতে হবে। কিন্তু এই মিথ কবে থেকে চালু হয়েছে তা কেউই জানেন না। যেমন জানেন না মিমি চক্রবর্তী…

Avatar

Nilanjana Pande

ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে রয়েছে এক অদ্ভুত মিথ। নায়িকা হতে গেলে তাঁকে নাকি রোগা হতে হবে। কিন্তু এই মিথ কবে থেকে চালু হয়েছে তা কেউই জানেন না। যেমন জানেন না মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) নিজেও। বাংলা ধারাবাহিক ‘গানের ওপারে’ -তে যাঁরা মিমিকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন, যথেষ্ট রোগা ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ধারাবাহিকে ভালো অভিনয়ের পরও তাঁকে শুনতে হয়েছে, তাঁর এক্স ফ্যাক্টর নেই। এমনকি তিনি নায়িকা হওয়ার যোগ্য নন। অনেকে তাঁকে মোটা বলেছেন, কালোও বলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মিমি।

এত বছর পর এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি। মিমি জানিয়েছেন, বারবার এই ধরনের কথা শোনার ফলে নিজের ছবি তাঁর নিজেরই পছন্দ হত না। একসময় রোগা হওয়ার জন্য ভুল ডায়েট করতে শুরু করেছিলেন মিমি। এমনকি নিয়েছিলেন ইঞ্জেকশন। না খেয়েও থেকেছেন মিমি। কিন্তু বর্তমানে তাঁর মনে হয়, এগুলি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ কোনো মানুষ নিখুঁত হন না। দিনের শেষে কে রোগা, কে মোটা তা গুরুত্ব পায় না। শুধুমাত্র মানবিকতা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্রণ হলেও তা আনন্দের সাথে উপভোগ করতে শিখে গিয়েছেন মিমি। ইন্সটাগ্রামে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সাথেই মিমি কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন যাতে তিনি কোনোরকম ফিল্টার ব্যবহার করেননি।

ছবিতে মিমির পরনে রয়েছে কমলা রঙের টপ ও ফ্লোরাল প্রিন্টেড শার্ট। মিমি জানিয়েছেন, এমনিতেও তিনি এডিটের সাহায্যে কোমর সরু করা, গাল ভেঙে দেওয়ার কারসাজিতে বিশ্বাসী নন। মিমি নিজের শরীরকে গ্রহণ করেছেন ও ভালোবেসেছেন। পাশাপাশি মিমি মনে করেন, ছবির হাসিমুখের মানুষটির সাথে বাস্তবের পরিস্থিতির মিল না-ও থাকতে পারে। ফলে অযথা কাউকে ট্রোল করা উচিত নয়।

আগামী দিনে মিমিকে দেখা যাবে উইন্ডোজ নির্মিত প্রথম সাসপেন্স থ্রিলার ঘরানার ফিল্ম ‘রক্তবীজ’-এ। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)।

whatsapp logo