জিনাত আমন (Zeenat Aman) যখন বলিউডে এসেছিলেন, সেই সময় স্টারকিড নয়, বরং সাধারণ পরিবারের সন্তানদের মধ্য থেকে উঠে আসতেন নতুন প্রতিভারা। জিনাত নিজেও স্বীকার করেছেন স্টারমেকারের প্রয়োজনীয়তা। তিনিই খুঁজে নেন শিল্পীর ভিতরের লুকিয়ে থাকা তারকাকে। কেউ স্টারমেকারের দেখা পান, কেউ পান না। জিনাতের জীবনে সেই স্টারমেকার ছিলেন দেব আনন্দ (Dev Anand)।
‘মিস ইন্ডিয়া’ হওয়ার পর মডেলিং করতে শুরু করেন জিনাত। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন অভিনেত্রী হতে। ‘দ্য এভিল উইদিন’ ফিল্মে দেব আনন্দের বিপরীতে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জিনাত। কিন্তু এই ফিল্মটি বক্স অফিসে অসফল ছিল। এরপর 1971 সালে ‘হালচাল’-এ ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিনাত। কিন্তু এরপর তাঁর হাতে প্রায় কাজ ছিল না বললেই চলে। ফলে তিনি বম্বে ছেড়ে কাঠমান্ডু চলে যাওয়ার জন্য প্যাকিং শুরু করে দিয়েছিলেন। দেব আনন্দ সেই সময় ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’-এর জন্য কাস্টিং করছিলেন। জেনিসের চরিত্রে প্রায় নতুন মুখ চেয়েছিলেন দেব। ‘দ্য এভিল উইদিন’-এর পরিচালক তাঁকে জিনাতের নাম বললে দেব ডেকে পাঠিয়েছিলেন জিনাতকে।
View this post on Instagram
মিটিং-এর দিন জিনাতের পরনে ছিল হলুদ টপ ও মাল্টিকালারড স্কার্ট এবং হলুদ রঙের সানগ্লাস। মা ছিলেন তাঁর সাথে। জিনাতের স্ক্রিন টেস্ট দেখে দেব তাঁর মাকে অনুরোধ করেছিলেন কাঠমান্ডু যাওয়া স্থগিত করতে। ফলে জিনাত ও তাঁর পরিবার বম্বেতেই একটি হোটেলে অপেক্ষা করতে শুরু করেন শুটিং শুরু হওয়ার জন্য। দীর্ঘদিন পর জিনাতের ডাক আসে। ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’-এ বাসের দৃশ্যটি শুট করা হয়েছিল সেদিন। তবে সেই সময় কয়েক মাসের মধ্যে ফিল্মের শুটিং শেষ হত। অনেক সময় দুই-তিন বছর লেগে যেত একটি ফিল্মের শুটিং শেষ হতে। অধৈর্য হয়ে আবারও বম্বে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন জিনাত। সেবারেও তাঁকে আটকে দিলেন দেব। অবশেষে সম্পূর্ণ হয়েছিল ‘হরেকৃষ্ণ হরেরাম’-এর শুটিং।
1971 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ফিল্ম চূড়ান্ত সফল হয়েছিল বক্স অফিসে। আজও ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মিউজিক্যাল হিট। জেনিসের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জিনাত পেয়েছিলেন ‘ফিল্মফেয়ার বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস’-এর পুরস্কার।
View this post on Instagram