পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajay Chakraborty)-র কন্যা কৌশিকী চক্রবর্তী (Kaushiki Chakraborty) নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে। একসময় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের দেখা যেত ভারি শাড়ি ও গয়নায় সুসজ্জিত হয়ে। চোখের কোল ভরে থাকত টানা কাজলে। কিন্তু সময় পাল্টে গিয়েছে। কৌশিকীর মতো অনেকেই আছেন যাঁরা ভারি শাড়ি ও গয়না পরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইতে স্বচ্ছন্দ নন। সঙ্গীতশিল্পীরা বর্তমানে নিজেদের স্টাইল সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। ব্যতিক্রম নন কৌশিকীও। এবার তিনি নিজের মনের কথা ফুটিয়ে তুললেন তাঁর হাতের ট্যাটুতে।
শত ব্যস্ততার মাঝেও সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাকটিভ কৌশিকী। নিজের জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করে নেন তিনি। বাদ গেল না ট্যাটুও। কৌশিকীর বহুদিনের সাধ ছিল ট্যাটু। ফলে এদিন নিজের বাম হাতে তিনি ফুটিয়ে তুললেন নিজের মনের কথা ‘গ্রেস’। ট্যাটুর ছবি তো বটেই, ট্যাটু করানোর ভিডিওটিও সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন কৌশিকী। ট্যাটুর ছবি ও ভিডিও ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, কৌশিকীর জ্ঞান হওয়ার পর থেকে তাঁকে সামলেছে দুটি জিনিস যেগুলি তাঁর জীবনের চালিকাশক্তি। সেগুলি হল গ্রেস ও সঙ্গীত। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ দুটি বর্তমানে এক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৌশিকী।
কৌশিকী গ্রেস ও সঙ্গীতকে উদযাপন করেন, অনুভব করেন। এই কারণে ইংরাজি ‘গ্রেস’ শব্দটি ট্যাটুর আকারে নিজের বাম হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। কৌশিকীর জন্য এই ট্যাটু রিমাইন্ডার, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও বার্তা। তবে এই ট্যাটুর মাধ্যমে ভয়কেও জয় করলেন কৌশিকী। ট্যাটু তাঁর পছন্দের হলেও এটির বরাবরের মতো শরীরে থেকে যাওয়া ও ব্যথা নিয়ে তিনি ভয় পেতেন। ‘গ্রেস’ জয় করল তাঁর সেই ভয়কে।
কৌশিকী নিজেও জানেন, তাঁর মতো খুব কমসংখ্যক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রয়েছেন যাঁরা ট্যাটু করিয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী, এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আপাতত কৌশিকীর ছবির কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছাবার্তায়।
View this post on Instagram