অভিনেতা হিসেবে বি-টাউনে নাসিরউদ্দিন শাহের (Naseeruddin Shah) সুখ্যাতি রয়েছে বিগত কয়েক দশক ধরেই। আলাদাভাবে তার প্রতিভা নিয়ে আর আলোচনার কোন দরকার পড়েনা। তিনি বলিউডের একজন প্রথম সারির বর্ষীয়ান অভিনেতা। নাসিরুদ্দিন শাহ তার সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে তার চরিত্রের ছাপ রেখে গেছেন। তিনি একাধিক হিট বলিউড সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। নাসিরুদ্দিন শাহের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘পহেলি’, ‘ইকবাল’, ‘এ ওয়েডনডে’, ‘ম্যা হুঁ না’, ‘জানে তু ইয়া জানে না’, ‘রাজনীতি’ প্রভৃতি। বলা বাহুল্য, অভিনেতা তার অভিনয় দিয়ে বলিউডে নিজের নাম কুড়িয়েছেন।
তবে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা তার জীবনে এমন কিছু কাজও করেছেন, যা সময়কেও হার মানিয়েছে। অবশ্য সবটাই তিনি করেছেন তার অভিনয়ের সজলতা দিয়েই। তা না হলে হয়তো এই ছবিতে এমন সব সাহসী দৃশ্যে দেখা যেত না এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। ‘ডার্টি পিকচার’ ছবির কথাই বলা হচ্ছে এখানে। এই ছবিতেই অনন্য সব দৃশ্যে নিজেকে আরেকবার যুবক করে তুলেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। আর এই ছবিকে ঘিরেই তোলপাড় হয়েছিল নেট দুনিয়া।
২০১১ সালে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবিটি তৈরি হয়েছিল। আর এই ছবির গল্প বা প্লট সবটাই আধারিত ছিল ভারতের দক্ষিনী সিনেমার নায়িকা সিল্ক স্মিতার জীবনভিত্তিক কিছু ঘটনার উপর। একতা কাপুরের প্রযোজনায় ওই সিনেমা বেশ সাড়া ফেলেছিল দর্শকদের মধ্যে। কারণ ছবিতে নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি আর তুষার কাপুর- এই তিন নায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ট দৃশ্য অভিনয় করে সে সময় হইচই ফেলে দেন বিদ্যা বালান। আর এই বয়সেও একইভাবে যুবকের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, এক দশক পর চিত্রনাট্যকার কণিকা ধীলন ‘দ্য ডার্ট পিকচার-২’ আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিদ্যা ও তার সহঅভিনেতাদের বাদ দিয়ে তিনি গল্প সাজিয়েছিলেন। বিদ্যার জায়গায় শোনা যাচ্ছে কৃতি শ্যানন, তাপসী পান্নুর মত অভিনেত্রীদের নাম। তবে নির্মাতার নাকি পরিকল্পনা ছিল কঙ্গনা রানাউতকে নেওয়ার। কিন্তু প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, এ মুহূর্তে খোলামেলা চরিত্রে অভিনয় করে ভাবমূর্তি খোয়াতে চান না।