Soumitrisha Kundu: ঋতুকালীন অবস্থার কষ্ট নিয়ে সরব সৌমিতৃষা!
মহিলাদের সামাজিক অবস্থান একবিংশ শতকেও মানুষ বুঝতে নারাজ। একই ভাবে তাঁদের শারীরিক অবস্থান বোধগম্য হলেও তা অবহেলাই করে সমাজ। মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের দিনগুলি মহিলাদের কাছে শারীরিক ও মানসিক ভাবে কষ্টকর। বিদেশের কয়েকটি স্থানে অফিসে কর্মরতা মহিলাদের জন্য পিরিয়ডের সবচেয়ে কষ্টকর প্রথম তিন দিনের ছুটির নিয়ম কার্যকরী হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম সমগ্র পৃথিবীতে কার্যকরী করতে নারাজ অনেকেই। ঋতুস্রাব ট্যাবু না হলেও কষ্টটা থেকেই যায়। শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সম্মুখীন হলেও বৃহত্তর পৃথিবীতে মহিলারা মুখ বুজে কাজ করে যান। এখনও অবধি অনেকে পিরিয়ডের মতো সাধারণ শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তবে পিছিয়ে থাকলেন না সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। পর্দার মিঠাইরানি বৃহস্পতিবার নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করলেন পিরিয়ডের ঠিক আগের মুহূর্তে সম্মুখীন হওয়া কষ্টের কথা।
এদিন একটি ইন্সটাগ্রাম রিল শেয়ার করেছেন সৌমিতৃষা যার ক্যাপশন ‘উওম্যান ক্যালেন্ডার’। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে ঋতুস্রাব শুরুর আট দিন আগে থেকেই মহিলাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। জীবন হয়ে ওঠে বোরিং। ফলে চিপস ও জাঙ্ক ফুড হয়ে যায় তাঁদের ভরসার স্থল। অযথা মন খারাপে কান্না আসে তাঁদের। পরিবর্তন আসে ত্বকেও। পিম্পল হচ্ছে কিনা তা চেক করতে ব্যস্ত থাকেন অনেকে। পিরিয়ডের প্রথম দুই দিন যে মহিলারা যন্ত্রণাকাতর হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকেন, সেই মহিলারাই তৃতীয় দিন অবলীলায় উঠে দাঁড়িয়ে আবারও কাঁধে তুলে নেন সব দায়িত্ব। যন্ত্রণাকে লুকিয়ে রেখে সকলের সামনে আসেন সেজেগুজে।
View this post on Instagram
ভিডিওটি শেয়ার করে সৌমিতৃষাও সম্মত হয়েছেন, লিখেছেন একদম সত্যি। আসলে তিনিও ওই পরিস্থিতিতে শুটিং করেছেন। শুধুমাত্র তিনি নয়, পৃথিবীর সব মহিলারাই কষ্ট উপেক্ষা করে ওই দিনগুলি কাজ করেন। কারণ তাঁরা জানেন সমাজ তাঁদের বুঝবে না।
হয়তো এই আর্টিকল যখন পাবলিশ হবে, সৌমিতৃষাকে অনেকে ট্রোল করবেন। অনেকে সমালোচনা করবেন প্রতিবেদক তথা নিউজ পোর্টালের। কিন্তু তবু তাঁরা হিসাব রাখবেন, অম্বুবাচী কবে! কারণ ওই দিন আশীর্বাদ নিতে তাঁরা গিয়ে দাঁড়াবেন কামাখ্যা মন্দিরের এক নারীর বন্ধ দরজার সামনে। অবলীলায় কিনবেন লাল কাপড়। কিন্তু দেবীও ঋতুমতী হন যে!
View this post on Instagram