বড়দিন আসতে আর বেশি দেরী নেই, খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। আর ক্রিসমাস মানেই কেকের বাহার আর কেক তৈরীর মস্ত বড়ো উপাদান হল চিনি। চিনি ছাড়া কিন্তু কেক তৈরী হয়না। আর চিনি কিন্তু বাঙালির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। চিনি ছাড়া বাঙালির কোনো খাবার রান্না হয় না। আর এই চিনি আমার আর আপনার ঘরে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। অবশ্য প্রেক্ষাগৃহে নয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চিনি আসতে চলেছে বড় দিনের দিন। কি বুঝতে পারলেন না? মিষ্টি মায়ের চিনি মেয়ের গল্প শোনাতে আসছেন মৈনাক ভৌমিক।
বিধবা স্বাধীনচেতা মা ও তাঁর একমাত্র মেয়ে চিনির গল্প নিয়ে বুনেছে পরিচালক মশাই। এস.ভি.এফ এর প্রযোজনায় তৈরি হয়ে এই চিনি ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে (২৫ ডিসেম্বর, ২০২০)। ছবিতে বিধবা মা সরোজিনি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে সকলের প্রিয় অপরাজিতা আঢ্য ওরফে অপা দি আর তাঁর মেয়ে চিনি ওরফে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে মধুমিতা সরকারকে ওরফে পাখিকে। এই চিনি নিয়ে মধুমিতার দ্বিতীয় সিনেমা।ইতিমধ্যে চিনির পোস্টার দর্শকের সামনে লঞ্চ হয়ে গেছে। এটি অবশ্য মধুমিতা নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। যেখানে একই সোফায় মা ও মেয়েকে একে অপরের বিপরীত দিকে মুখ করে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আর পাঁচটা সংসারের মা-মেয়ের মধ্যে যে খুনসুটি থাকে আর সেই নিয়ে এই গল্প বলবে মৈনাক। এখানে পরিচালক দেখাবেন, নবীন প্রজন্মের সঙ্গে আগেকার মপ্রজন্মের মতপার্থক্য, দুষ্টু-মিষ্টি অভিমান-ঝগড়া, ভালবাসা, দায়িত্ববোধ,খুনসুটি সবরকম উপাদান নিয়ে গল্প তৈরী হয়েছে। এই ছবিটি সম্পর্কে বলতে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ছবিটা একটা মা ও মেয়ের ভালোবাসার গল্প। যেখানে প্রথমে মেয়ে চিনির মনে হবে তাঁর মা নাকি তাঁকে একেবারেই বুঝতে চাইছেন না। চিনি তাই তাঁর মায়ের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে। অবশ্য অপাদির তাতে কোনো আপত্তি নেই। চিনির মাও তাঁর জীবনটা একরকম ভাবে সাজিয়েছে যেখানে নিজের মতো একা থাকতে জানে, সেটা হয়তো মেয়ের কাছে দোষের। দুজনের জীবনই দুভাবে চলে, তবে একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুজন দুজনের কিভাবে কাছে আসে। পরিশেষে চিনি উপলব্ধি করে মা আসলে মা-ই হয়। মায়ের জায়গা এই বিশ্বে কেউ নিতে পারেনা তবে সেটা কীভাবে মা মেয়ের মিল হয় তাই জানতে হলে গল্পটি অবশ্যই দেখতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই চিনি’র গল্পকার ও পরিচালক মৈনাক ভৌমিক নিজেই একা। তিনিই মা মেয়ের সম্পর্কে উপাখ্যান লিখেছেন। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রসেন এবং অমিত-ঈশান। এই সিনেমা সম্পাদনার দায়িত্ব ও সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন প্রসেনজিত চৌধুরী। অবশ্য এই করোনা পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহে নয় তাই বড়দিনের দিন ‘হইচই’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে মা-মেয়ের দুষ্টু মিষ্টি গল্প ‘চিনি’।