চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, তিনি রাজনীতিতে যোগদান করলেও অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি বারাসতের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। এবার বিরতি চান রাজনীতি থেকে। তার কথায় আর রাজনীতি নয়, এবার নিজের জায়গায় ফিরতে চনম অর্থাৎ রুপোলি পর্দায় ফিরতে চান তিনি।
একটা সময় চিরঞ্জিত বারাসাতের সিটে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে লীগ অ্যাসেম্বলিতে অংশগ্রহণ করেন এবং জয়যুক্ত হন। এবার আবারও টিকিট পাওয়ার আশায় রয়েছেন। কোনো রকম ভনিতা না করেই এদিন তিনি সাফ জানিয়েছেন টিকিট পেলে লড়বেন। নয়তো রাজনীতি থেকে ‘অবসর’ নিয়ে রুপোলি পর্দায় ফিরে আসবেন।
চিরঞ্জিতের কথায়, ‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন আমাকে’। তাহলে কি দল বদল করতে চান তিনি? শেষে তিনিও কি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন! বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতেই অভিনেতা খোলসা করে বলেন যে অন্যদিকে তিনি যাচ্ছেন না, অর্থাৎ রং বদল তিনি করবেন না, কিন্তু টিকিট না পেলে রাজনীতিতে থাকবেন না তিনি।
রুপোলি পর্দার কেরিয়ারের দিকে চোখ রাখলে স্পষ্ট যে তিনি এখনও পর্যন্ত বহু বাংলা সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।১৯৭০ সাল থেকে তিনি রোমান্টিক ছবি ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাকশন ধাঁচের ছবিতে সফলভাবে অভিনয় করেন। প্রায় ১৫০ র কাছাকাছি মুভিতে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। তাই আবারও সেই পুরনো বাড়িতেই ফিরতে চান তিনি। এর পাশাপাশি টিকিট পেল কী করবেন তাও জানিয়েছেন অভিনেতা স্পষ্ট করে। অভিনেতার কথায়, “তখন তো উপায় নেই কোনও। সে ক্ষেত্রে নির্দেশ হবে আমি যেন রাজনীতি করি। সেটা উনি চাইছেন, মানে আমার এখনও প্রয়োজনীতা আছে। সেটা যদি না হয় তবে আমি আমার নিজের জায়গায় ফিরে চলে যাব।”
তৃণমূল ছাড়তে চাইলেই যে দিদি ছেড়ে দেবেন এমনটা নয়। দিদির দলে তিনি থাকছেন নাকি থাকছেন না এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা তিনি না করলেও একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “বছর হয়ে গেল, কোনও ছবি পরিচালনা করিনি আমি। ভেবেছিলাম রাজনীতি ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরব। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের যা অবস্থা, তাতে মমতা দিদি আমাকে যেতে দিলেন না। আমিও এই ভোটযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম।’’