স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) কোনোভাবেই তাঁর আগামী ফিল্ম ‘শিবপুর’-এর প্রোমোশনে অংশগ্রহণ না করে জিইয়ে রেখেছেন বিতর্ক। অপরদিকে মিডিয়ার কয়েকজন মহিলা সাংবাদিক যাঁরা অবশ্য প্রেক্ষাগৃহে ‘শিবপুর’ দেখতে গিয়ে ফিল্ম দেখার পরিবর্তে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay)-এর সাথে স্বস্তিকার একদা প্রেমের স্মৃতি নিয়ে গসিপ করবেন পপকর্ণ সহযোগে। তবে সেই সম্পর্ক অনেকদিন আগেই মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। দুজনেই নিজেদের মতো করে এগিয়ে গিয়েছেন জীবনের পথে। তাঁরা এখন শুধুই সহকর্মী। অপরদিকে স্বস্তিকার মেয়ে অন্বেষা (Anwesha)-ও বর্তমানে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করছেন। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা তো বটেই, স্বস্তিকার সময় এখন কেটে যায় তাঁর মেয়ে ও সারমেয় সন্তানদের ঘিরে।
খুব অল্প বয়সে স্বস্তিকার সাথে বিয়ে হয়েছিল প্রমিত সেন (Pramit Sen)-এর। বিবাহিত জীবন সুখকর ছিল না। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার আর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাননি স্বস্তিকা। কিন্তু তাঁর ছবির কমেন্ট সেকশন প্রায়ই ভরে ওঠে বিয়ের প্রস্তাবে। লালপাড়-সাদা শাড়ি ও লাল রঙের প্রিন্টেড ব্লাউজ পরে স্বস্তিকা একটি ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন ইন্সটাগ্রামে। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর একটি বিখ্যাত কবিতার কয়েকটি পঙক্তি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, স্বস্তিকার লাল শাড়ি সব মিলিয়ে জাদু করেছিল এক হরিপদ কেরানি মার্কা নেটিজেনের উপর।
ফলে তিনি স্বস্তিকাকে কমেন্ট সেকশনেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, প্রিয় নায়িকাকে বিয়ে করতে চান তিনি। স্পষ্টকথনের জন্য বিখ্যাত স্বস্তিকা প্রত্যুত্তরে লিখেছেন, ওই ব্যক্তি একা চাইলেই তো হবে না, স্বস্তিকাকেও চাইতে হবে বিয়ে করতে যা তিনি চান না। উপরন্তু ওই ব্যক্তিকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করেছেন স্বস্তিকা।
ওই নেটিজেনের উদ্দেশ্যে বার্তা, তিনি যেন কষ্ট না পান। স্বস্তিকা তাঁকে ‘দাদা’ বলে তো ডেকেছেন। রাখির দিন নাহয় রাখিও বেঁধে দেবেন তাঁর হাতে। স্বামী না হোক, স্বস্তিকার ‘দাদা’ বলে তো পরিচয় দিতে পারবেন ওই নেটিজেন।
View this post on Instagram