বিয়ের পরই কনের সাজ খুলে তুমুল নাচ অভিনেত্রী তৃনা সাহার, ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
লকডাউন শেষে স্টার জলসায় শুরু হয় এক মিষ্টি যৌথ পরিবারের গল্প। এর আগে অবশ্য ২০০৯ সালে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকে এক যৌথ পরিবারের গল্প দেখিয়েছিলো। কিন্তু ২০২০ সালে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলায় এরকম যৌথ পরিবার এখন খুব কমই দেখা যায়। দিন যত যায় নিউক্লিয়ার পরিবারে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু একা নয় একসাথে থেকে একে অপরের সুখ দুঃখ ভাগ করে নেওয়া হল যৌথ পরিবার। আর এই উপজীব্য নিয়ে শুরু হয় ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক। আর খুব স্বল্প সময়ে এই ধারাবাহিক বাঙালি দর্শকের অন্তরে প্রবেশ করেছে। বুড়ো থেকে স্কুল পড়ুয়া সকলের প্রিয় এই ধারাবাহিক। আর এই ধারাবাহিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এখনকার ছেলে মেয়েরা নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলেও মা বাবা জ্যেঠু জ্যেঠিমা সকলের গুরুত্ব সমান। আর প্রত্যেকের চরিত্রটি মানানসই। তাজ তো স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলিল অভিনয়েআত্র ১০০ এপিসোডে টিআরপির শীর্ষে জায়গা করে নিয়ে খড়কুটো ধারাবাহিক।
এই গল্পের নায়ক নায়িকা হল সৌজন্য-গুনগুন। সৌজন্য শান্ত,নম্র ভদ্র আর গুনগুন একা, জেদী, একগুয়ে হলেও ভালো মনের মানুষ। কারোর কষ্ট সহ্য করতে পারেনা গুনগুন। আর এই গুনের জন্য সৌজন্যের পরিবারের পছন্দ হয়। কিন্তু সৌজন্য আর গুনগুন সামনে থাকলে হয় খালি ঝগড়া আর খুনসুটি৷ এই নিয়ে গল্প এগোতে থাকে। প্রথমে কেউ বিয়ে করতে না চাইলেও পরিবারের কথায় রাজী। আর এখন এদের মধ্যে খুনসুটি হলেও কোথাও লুকিয়ে আছে ভালোবাসা। সেটা স্বীকার না করলেও কিন্তু এরা একে অপরের বিপদে এসে দাঁড়ায়। অন্যদিকে দর্শক ও উৎসুক এদের বিয়ে দেখা জন্য।
গায়ে হলুদ শেষ। এবার সৌজন্যের মাথায় টোপর পড়ে বিয়ে করতে চলে যায়। আর গুনগুন ও গায়ে গহনা লাল লেহেঙ্গা কপালে চন্দন পড়ে পুরোপুরি বিয়ে করে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়ার জন্য রেড বর আসার অপেক্ষায় আর গুনগুনের তর সইছেনা। কে কি বলবে কুছ পরওয়া না করে সকলের সঙ্গে দে ছুট বর দেখতে আর এই দেখে সৌজন্য বেশ হতবাক। আর নতুন বরের সাথে পরিবার আর দর্শক ও বেশ অবাক। তাতে গুনগুনের কিছু যায় আসেনা। এখানেই শেষ নয়। বরের বরণ পালা শেষ করে নাচ গান শুরু। বরযাত্রীর এক জন ঢোল বাজাচ্ছেন। তালে তালে গান গাইছেন আর নাচছেন পটকা। ‘শোলার টুপি লোহার হবে’ শুরু হয়ে লোকগীতি। গুনগুনের শ্বশুড় মশাই নাচ করতে শুরু করে দেন। পটকার সাথে নাচতে শুরু করে দেন গুনগুন ও। সব দেখেশুনে হাসি চাপতে পারেনি সৌজন্যও। এইভাবে বিয়ের আসরে গিয়ে পৌছোয় গুনগুন।
নেশা লাগিলো রে গান দিয়ে সৌজন্য ও গুনগুন সাত পাকে ঘুরে নিল। এই দেখে সৌজন্য আর গুনগুনের পরিবার খুশি সাথে দর্শক ও। এরপর শুরু হয় বাসর রাত। আর বাসর রাতেই শ্বশুড়ের সাথে গলা মেলায় গুনগুন। বাসর রাতে ও গুনগুনের ক্রেজির সাথে ঝগড়া হতে বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু এই ঝগড়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা। এবার গুনগুনের বিদায়। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পালা। এইবার কেমন হবে গুনগুনের শ্বশুরবাড়ির ঘর। এই নিয়ে টিআরপি এবারেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
View this post on Instagram