টলিউড জুড়ে বর্তমানে লীগ ও লবির রাজত্ব। শাসক দল যথেষ্ট সক্রিয় বিনোদন জগতে। তাবড় নায়ক-নায়িকাদের দেখা মেলে তাদের রাজনৈতিক মঞ্চে। অপরদিকে বিরোধী দলেও যোগ দিয়েছেন কিছু নায়ক-নায়িকা। কখনও সখনও মনে হয়, অভিনয় না করে মন দিয়ে নাহয় তাঁরা রাজনীতিটা করলেই পারতেন! তবে এমন কতিপয় কূশীলব রয়েছেন যাঁরা বিনোদনকেই প্রথম প্রায়োরিটি বলে মনে করেন। ফলে রাজনীতি তাঁদের ছুঁতে পারেনি। এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন জিৎ (Jeet)। প্রায় প্রতি বছরই জিৎ-এর অনুরাগীদের একাংশ মনে করেন, এবার হয়তো তাঁদের প্রিয় নায়ক রাজনীতিতে যোগ দেবেন।
কিন্তু জিৎ সেই নায়ক যিনি শুরু করেছিলেন শূন্য থেকে। বাংলা বলতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। বাঙালিরা যখন বাংলা বলতে লজ্জা পান, মেসেঞ্জারে ইংরাজিতে চ্যাট করেন, সেই সময় জিৎ মাডনানি ‘বাই বর্ন সিন্ধ্রি’ কিন্তু বাংলা খবর দেখে ও বাংলা সংবাদপত্র পড়ে এখনও অবধি বাংলার অভ্যাস করেন। এই কারণেই তিনি জিৎ। এর ফলেই অবলীলায় জিৎ বলতে পারেন, তিনি যে কাজটা পারেন, সেটাই মন দিয়ে করতে চান। দর্শকদের উপহার দিতে চান ভালো ফিল্ম। রাজনীতি বোঝেন না জিৎ। ফলে রাজনীতি করতেও ইচ্ছুক নন তিনি। বিনোদন জগতে একশো শতাংশ দিতে পছন্দ করেন বলেই জিৎ-এর প্রযোজনায় তৈরি কমার্শিয়াল ফিল্ম ‘চেঙ্গিজ’ টলিউডের তরফে প্রথম বাংলা ফিল্মের তকমা পেয়েছে যা সর্বভারতীয় স্তরের রিলিজ করেছে।
জিৎ-ই টলিউডকে সর্বভারতীয় স্তরের নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ তৈরি করতে পারেন। জিৎ ও দেব (Dev) প্রকৃতপক্ষে বর্তমান টলিউডের দুই স্তম্ভ। দুজনেই দুজনের ফিল্মের জন্য শুভেচ্ছা কামনা করেন। তবে ‘দুই পৃথিবী’-র পর এখনও অবধি এই দুই নায়ককে আর কোনো ফিল্মে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায়নি।
কারণ টলিউডের তাবড় পরিচালক ও প্রযোজকদের মত, সঠিক চিত্রনাট্য না তৈরি হলে দেব ও জিৎ-এর মতো দুই নায়ককে একসাথে স্ক্রিনে আনা প্রায় অসম্ভব।
View this post on Instagram