বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে? জানেন এই বিষয়টি থেকে কি ঘটতে পারে!
বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কমবেশি সকলের কাছেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরি একটি বিষয় সকলের কাছেই।বলা যায়, ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রয়োজন সকলেরই পড়ে। সে রোজগারের টাকা সুরক্ষিতভাবে রাখা হোক বা অনলাইনে টাকা লেনদেন কিংবা দূরের কাউকে টাকা ট্রান্সফার করা- এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্ট রাখা ভীষণ জরুরি। কারো থাকে একটি একাউন্ট, কারো আবার একাধিক। তবে একাধিক একাউন্ট হোল্ডারদের জন্য এবার এক বড়সড় নির্দেশিকা জারি করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কি সেই নির্দেশিকা? দেখুন এই প্রতিবেদনে।
ভারতের নাগরিকরা অনেক ধরণের একাউন্ট খুলে থাকেন ব্যাঙ্কে। যার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় একাউন্ট হল- সেভিংস একাউন্ট ও কারেন্ট একাউন্ট। এই দুই একাউন্টের ব্যবহার কিন্তু আলাদা আলাদা। যারা নিয়মিত কিছু টাকা ব্যাঙ্কে সুরক্ষিতভাবে ফেলে রাখতে চান ভবিষ্যতের জন্য এবং দরকারের সময় সেই টাকা তুলে নিতে চান, তারা সাধারণত সেভিংস একাউন্ট খুলে থাকেন। এই একাউন্টে টাকার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক গ্রাহককে সুদও দিয়ে থাকে। ফলে আমজনতার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক একাউন্ট টাইপ।
অন্যদিকে কারেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা। কারণ এই একাউন্টে আপনি সেভিংস একাউন্টের থেকে বেশি লেনদেন করতে পারবেন নিঃশুল্কভাবে। সাধারণত ব্যবসায়ী বা কোনো প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট এই ধরণের হয়ে থাকে। এছাড়াও কোনো সংস্থার কর্মচারীদের একাউন্ট এই ধরণের হয়ে থাকে। এতে যেমন টাকা লেনদেনের কোনো লিমিট থাকে না, তেমনই এতে সুদ ও জিরো ব্যালেন্সের সুবিধাও মেলে। এছাড়াও অনেকেই স্বামী-স্ত্রীর জয়েন্ট একাউন্টও খুলে থাকেন। এতে দুজনেই একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এক ব্যক্তির একাধিক ব্যাঙ্কে একাধিক একাউন্ট রয়েছে। যদিও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একজন নাগরিকের কতগুলি একাউন্ট থাকতে পারে, সেই বিষয়ে কোনো সীমানা বেঁধে দেয়নি এখনো অবধি। তবে একাধিক একাউন্ট রাখলে সেইসব একাউন্টের ব্যালেন্স মেইনটেইন থেকে শুরু করে প্রতিটি একাউন্টের নানা সুবিধার জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা বার্ষিক শুল্ক গুনতে হবে। তাই একাধিক একাউন্ট খোলার পরামর্শ অনেকেই দেন না।