স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মুকুট
গত কিছুদিন ধরেই বিতর্কের শীর্ষে চলে এসেছে বাংলা ধারাবাহিক ‘মুকুট’। সাধারণতঃ প্রথম সম্প্রচারের সময় থেকেই এই ধারাবাহিকের টিআরপি ভালো নয়। ফলে বারবার গুঞ্জন রটেছে ‘মুকুট’ অফ এয়ার হওয়ার। কিন্তু স্লট পরিবর্তন করে টিকিয়ে রাখা হয়েছে ‘মুকুট’-কে। তবে এবার একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রী সরে যান ধারাবাহিকটি থেকে। কিছুদিন আগে ‘মুকুট’ থেকে সরে গিয়েছিলেন শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy)। তাঁর অভিযোগ ছিল, ইউনিটের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না তিনি। এবার সরলেন ‘মুকুট’-এর রমণীমোহন ওরফে যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Judhajit Banerjee)।
ইন্ডাস্ট্রিতে আঠারো বছর পার করে ফেলেছেন যুধাজিৎ। একাধিক ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মুকুট’-এ রমণীমোহন হালদারের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন যুধাজিৎ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকে তাঁর দেখা মিলছিল না। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ‘মুকুট’-এর নির্মাতা সংস্থা ‘ব্লুজ’-এর দুটি ধারাবাহিক থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন যুধাজিৎ। একটি ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই ‘মুকুট’। অপর ধারাবাহিকের নাম ‘নায়িকা নম্বর 1’। ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক হয়ে যুধাজিৎ লিখেছেন, শিল্পীর মানহানি করে শিল্পকে ভালোবাসার মিথ্যা অভিনয় আর সহ্য করতে পারছেন না তিনি। ভালোবেসে কাজটাই শুধু করতে পারেন যুধাজিৎ। ফলে অহংকারকে বিদায় জানিয়ে সরে গিয়েছেন যুধাজিৎ। শুধুমাত্র ফেসবুক পোস্ট নয়, সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন যুধাজিৎ।
তিনি জানিয়েছেন ব্লুজ-এর তরফে তাঁকে কিছু না জানিয়ে একরকম হঠাৎই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুটি ধারাবাহিকের জন্য সঠিক ডেট দেওয়া হচ্ছিল না যুধাজিৎ-কে। প্রযোজনা সংস্থাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেও কারণ জানতে পারেননি যুধাজিৎ। উপরন্তু ইউনিটের পরিবেশ এমন আকার ধারণ করেছিল যাতে সকলে ভয়ে কাজ করছিলেন। প্রযোজনা সংস্থার সাথে আলোচনা করে মেলেনি সমাধান সূত্র। এই ভাবে কোনো ভালো কাজ হয় না বলে মনে করেন যুধাজিৎ। ফলে অপমানিত হওয়ার আগেই ধারাবাহিক থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুধাজিৎ। তাঁর মতে, টাকার জন্য শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দিতে পারবেন না তিনি। শিল্পী হিসাবে উপযুক্ত সম্মান চান যুধাজিৎ।
কিন্তু যুধাজিৎ-এর পোস্টের বিরোধিতা করে ‘মুকুট’-এর নায়িকা শ্রাবণী ভুঁইয়া (Srabani Bhunia) দাঁড়িয়েছেন ব্লুজ-এর কর্ণধার স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashish Chakraborty)-র পাশে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই সংস্থার সাথে কাজ করছেন তিনি। শ্রাবণীর মতে, ব্লুজ তাঁর কাজে মন্দির-সমান প্রতিষ্ঠান যার সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছেন যুধাজিৎ। তাঁর মতে, ব্লুজ একটি সুরক্ষিত প্রতিষ্ঠান। এখানে সকল শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়। মাসের শুরুতেই সকলকে তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। বিপদে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান স্নেহাশিস। স্নেহাশিসের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রেরণা ভট্টাচার্য (Prerona Bhattacharya), ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় (Twarita Chatterjee)-রাও।