সরকারি চাকরি না করেও মিলবে পেনশন, এই স্কিমে টাকা রাখলেই মাসে পাবেন ২০,৫০০ টাকা
কর্মজীবনের পর আসে অবসর জীবন। এই সময় বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে শরীরের কর্মক্ষমতা। তাই সেই সময় কাজকর্ম থেকে বিরতি নিতে হয় কমবেশি সকলকেই। কিন্তু কাজ বন্ধ মানেই তো রোজগার বন্ধ। অথচ বয়স বাড়লে খরচও কিন্তু বেড়ে যায়। এমন বয়সে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য কর্মজীবনে বিনিয়োগ করা ভীষণ জরুরি। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে কেউ কেউ অবগত হলেও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবেন না তেমন।
কর্মজীবনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক অপশন রয়েছে আপনার সামনে। কিন্তু আপনি কোথায়, কেমন, কতদিনের জন্য, কত টাকা বিনিয়োগ করবেন, তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। তবে ঝুঁকি না নিয়ে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তারা পোস্ট অফিসকেই ভালো বিকল্প হিসেবে বেছে নেন এককথায়। পোস্ট অফিসের স্কিমগুলির মধ্যে অন্যতম হল, ‘সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম’ (SCSS)। এই স্কিমের অধীনে, আপনি ২ লক্ষ টাকা অবধি সুদ পাবেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম সেরা প্রকল্প। এতে একসাথে টাকা জমা করলে বিনিয়োগকারীরা ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এর সাথে যারা VRS নিয়েছেন তারাও এর সুবিধা নিতে পারবেন।
আর এবার এই স্কিমে এক বড়সড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানিয়েছেন যে এবার সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগের সীমা ১৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে প্রবীণ নাগরিকরা বিনিয়োগে আগের চেয়ে বেশি রিটার্ন পাবেন। সেপ্টেম্বরে শেষে সুদের হার ৮.২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আগের বার তা ছিল ৮ শতাংশ। এর আগে, এর সুদের হার ছিল ৭ শতাংশ এবং বিনিয়োগের সীমা ছিল ১৫ লক্ষ টাকা।
বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধি এবং সুদের হার বৃদ্ধির কারণে প্রতি মাসে প্রবীণ নাগরিকদের সুদের আকারে অর্জিত আয় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কিমের পাঁচ বছরের মেয়াদপূর্তিতে ১২.৩০ লক্ষ টাকার সুদের সাথে মোট ৪২.৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। যদি এর বার্ষিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয়, তাহলে তা হয় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এবং মাসিক ভিত্তিতে হয় ২০,৫০০ টাকা। অর্থাৎ, অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর, এখন প্রবীণরা ২০,৫০০ টাকা পাবেন যা আগের টাকার তুলনায় ৯,৫০০ টাকা বেশি।