NPS: অবসরের পরে আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে আর চিন্তা নেই, পাবেন মোটা টাকা পেনশন
NPS, যার পুরো কথা হল ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (national pension scheme)। এই পেনশন স্কিমে দু’রকমের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, একটি হল এনপিএস টিয়ার-১, আর দ্বিতীয়টি হল এনপিএস টিয়ার-২। এই পেনশন স্কিমে টাকা জমালে অবসর সময় পাওয়া যাবে মোটা টাকা। নিশ্চিন্তে করবে অবসরকালীন। চলুন জানি বিস্তারিত।
চাকরি জীবন শেষের পর একটাই চিন্তা ঘোরাফেরা করে যে এই সামান্য টাকায় কিভাবে সংসার চলবে? কিভাবে ওষুধ খরচ তুলবো? যারা রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করেন তাদের পেনশনের অঙ্ক খুবই অল্প। বড় বেসরকারি ফার্মে কাজ করলেও যাও বা টাকার মুখ দেখা যায়, সামান্য সরকারি চাকরিতে সব সাধ পূরণ হয়না। এক্ষেত্রে, আপনারা একটা স্কিম চালু রাখতে পারেন চাকরি করার সময় থেকেই। সেটা হল NPS। এই স্কিমে আপনি চাকরিজীবনে অল্প অল্প করে টাকা জমা রাখলে ফেরত পাবেন রিটায়ারমেন্টের পর। জমা হওয়া টাকা দু’ভাবে ফেরত পান লগ্নিকারীরা।
আর্থিক নিরাপত্তা বা ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটির জন্য NPS একটি দারুন উপায়। হ্যাঁ, এই সরকারি স্কিম (Government Scheme) একজন বার্ধক্যের ভরসা হতে পারে। একবার এই স্কিম চালু করলে ইনকাম ট্যাক্স থেকে যেমন বাঁচা যায়, তেমনই চাকরি থেকে রিটায়ার হওয়ার পর প্রতিমাসে একটা নিশ্চিত মোটা টাকা গ্যারান্টি ইনকাম সম্ভব।
একজন লগ্নিকারীর হিসেবে আপনি এতে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা করতে পারেন, এবং রিটায়ারমেন্টের পর ৬০ শতাংশ টাকা তুলে নিতে পারেন, এবং বাকি ৪০ শতাংশ টাকা রেখে দিতে পারেন। যেটি পরে আপনি মাসে মাসে তা থেকে পেনশনের মতো টাকা পেতে থাকবেন। উল্লেখ্য, NPS এর জন্য আপনি PFRDA বা আপনার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অনলাইন বা অফলাইনে বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে. তবে, আপনি যদি অন্তত তিন বছর ধরে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে আপনি ২৫% পর্যন্ত তুলতে পারেন। এবং, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শিশুদের বিয়ে বা উচ্চতর পড়াশোনা, বাড়ি তৈরি/কেনা বা নিজের/পরিবারের চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ।