31 শে জুলাই-এর সন্ধ্যা থেকে নুসরত জাহান (Nusrat Jahan Ruhi)-কে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বসিরহাটের সাংসদ-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন একটি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীরা। 31 শে জুলাই সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা (Shankudeb Panda)-র সাথে ইডির দফতরে এসে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে আটচল্লিশ ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। অবশেষে 2 রা অগস্ট একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে নুসরত দাবি করেছেন, তিনি সৎ।
গড়িয়াহাট রোডে অবস্থিত মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে 2014 সালে ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। সেই সময় এই সংস্থার তরফে অভিযোগকারীদের রাজারহাট হিডকোর কাছে থ্রি বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মাথা পিছু পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। মোট চারশো উনত্রিশ জন ব্যক্তির কাছ থেকে এই অর্থ নেওয়া হয়। কিন্তু সময়মতো ফ্ল্যাট না পাওয়ার ফলে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিত ব্যক্তিরা। মামলা গড়িয়েছিল আলিপুর আদালত অবধি। এই মামলায় আদালতের তরফে একাধিকবার তলব করা হয়েছে নুসরতকে। কিন্তু ফ্ল্যাট বা টাকা কিছুই না পেয়ে প্রতারিতরা দ্বারস্থ হয়েছেন ইডির।
View this post on Instagram
জানা গিয়েছে, মোট চব্বিশ কোটি টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছিল সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে। এই সংস্থার আরও একজন ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্র (Ruplekha Mitra) জানিয়েছেন, নুসরত এই সংস্থার ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন প্রচুর সুবিধা পেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে নুসরত বলেন 2017 সালে তিনি সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু তার আগে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কেনার জন্য সংস্থা থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন যা সুদসমেত শোধ করেছেন নুসরত। নুসরতের মতে, তিনি আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকলে সকলের সামনে আসতেন না। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতারিত ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট না দেওয়া সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। উপরন্তু মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে যান নুসরত।
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও নেই দলের সাংসদের পাশে। দলনেত্রী ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, এটি নুসরতের ব্যক্তিগত ব্যাপার যা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না।
View this post on Instagram