Credit Card ও Debit Card-এর নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন, গ্রাহকদের জেনে রাখা দরকার এই বিষয়গুলি
বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেন অনলাইনে হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক জায়গায় অনলাইনে লেনদেন হয়না। সেই কারণে প্রত্যেকের ‘হার্ড ক্যাশ’-এর প্রয়োজন পড়ে কখনো কখনো। যদিও ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টোকা তোলার দিন এখন প্রায় শেষের মুখে। এখন অনেকেই এটিএম কার্ড (ATM Card) ব্যবহার করে থাকেন টাকা তোলার ক্ষেত্রে। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ড কিংবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার হয়।
তবে দেশে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড সম্পর্কিত নিয়মগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে থাকে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডগুলির জন্য আপডেট নির্দেশিকা বা নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নতুন নিয়মগুলি সমস্ত ধরণের কার্ডধারীদের নিরাপত্তা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপত্তা অভিজ্ঞতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
◆ বাধ্যতামূলক Two Factor Authentication: ইলেকট্রনিক কার্ডের লেনদেনগুলিকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য, RBI সমস্ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের অর্থপ্রদানকে একটি Two Factor Authentication প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে দেয়৷ এর অধীনে আপনার লেনদেন নিরাপদে করা যেতে পারে।
◆ যোগাযোগহীন কার্ড লেনদেনের সীমা: আরবিআই কার্ড ধারকদের আরেকটি সুবিধা দিয়ে যোগাযোগহীন কার্ড লেনদেনের সীমা সংশোধন করেছে। কার্ডধারী পিন না দিয়েই প্রতি লেনদেনে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যোগাযোগহীন অর্থপ্রদান করতে পারেন।
◆ বিদেশে কার্ড ব্যবহারের প্রচার: সম্প্রতি, আরবিআই জানিয়েছে যে কার্ডধারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য কার্ডটি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন। এই ফিচারের মাধ্যমে কার্ডধারীরা দেশের বাইরে তাদের কার্ডের অপব্যবহার থেকে রক্ষা পাবেন।
◆ অনলাইন লেনদেন সতর্কতা: আরবিআই সমস্ত ব্যাঙ্ককে সমস্ত ধরণের কার্ড লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের বাধ্যতামূলকভাবে এসএমএস এবং ইমেল সতর্কতা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সমস্ত সতর্কতা রিয়েল টাইম আপডেটের মতো হওয়া উচিত এবং লেনদেনের সর্বাধিক ৫ মিনিটের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো উচিত।
◆ ব্যর্থ লেনদেনের সীমা: প্রতারণা এবং জালিয়াতি থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে, RBI ব্যর্থ কার্ড লেনদেনের উপর সীমা আরোপ করেছে। যদি একটি কার্ড লেনদেন ব্যর্থ হয়, তবে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি ব্যর্থ লেনদেনের কোনো চার্জ নিয়ে থাকে, তাহলে তাও গ্রাহকের কাছে ফেরত দিতে হবে।