Onion Price Hike: রপ্তানি শুল্ক জারি করেও হলনা কাজ, রোখা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম
করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতির সমস্যা। গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষার শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছিল নাগরিকদের কাছে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি। তবে সেগুলির দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এখন চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে আগে থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল। দেশের কিছু অংশে ইতিমধ্যে দেখা গেছে সেই প্রভাব। উর্ধগতি দেখা গেছে পেঁয়াজের দামে। আর এর ফলে আগামী কয়েকসপ্তাহে পেঁয়াজের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের থেকে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা অবধি। আর এই মূল্যবৃদ্ধি দেখে অনেকেই মনে করছেন যে আগামী মাসখানেকের মধ্যেই এই দাম চলে যেতে পারে মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে, রাজ্যের বাজারেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ইতিমধ্যে, রাজ্যের নানা বাজারে পেঁয়াজের দাম গড়ে রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা প্রতি কেজিতে। আগামী সপ্তাহেই এই দাম পেরিয়ে যেতে পারে পঞ্চাশের গন্ডি, এমনটা আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই।
তবে এবার এই মূল্যবৃদ্ধি দমনে পুরোপুরিভাবে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। দেশে পেঁয়াজের যোগান ঠিক রাখতে এবার থেকে রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হল। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে এই রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে দেশের কৃষকদের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এই বিষয়টিকে ঘিরে।