দজ্জাল শাশুড়িকে তীর্থে পাঠাতে নিজের গয়না বন্ধক, ফের বিপদে পড়বে শিমুল?
গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, কয়েক সপ্তাহেই দর্শকদের প্রিয় সিরিয়ালের তালিকায় নাম তুলে নিয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। জি বাংলার সিরিয়ালটি শুরু হয়েছে গত জুলাই মাসে। কিন্তু প্রথমে দর্শকদের অভিযোগ ছিল, প্রোমোতে যেমনটা দেখানো হয়েছিল সিরিয়ালের গল্প ঠিক তেমনটা নয়। উপরন্তু ধারাবাহিকের কিছু কিছু দৃশ্য নিয়েও উঠেছিল আপত্তির ঝড়। সেসব বাধাবিপত্তি কাটিয়ে ইদানিং বেশ গতি ধরেছে কার কাছে কই মনের কথা। টিআরপি তালিকাতেও সেরা দশের মধ্যে নাম উঠে এসেছে ধারাবাহিকটির।
সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্র শিমুলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন মানালি দে। দাদাদের সংসারে বড় হয়ে ওঠা শিমুল শ্বশুরবাড়িতে এসেও কারোর মন পায় না। শাশুড়ি নিজের সময়কার অত্যাচারের কথা মনে করে শোধ তুলতে চায় শিমুলের উপরে। স্বামীকে পাশে পাওয়া তো দূরের কথা, স্ত্রীর মনের কথাই বোঝে না পরাগ। শ্বশুরবাড়ি নামক জেলখানায় শিমুলের বন্ধু হয়ে ওঠে তার পাড়ার প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলা। তবে ইদানিং দর্শকদের অভিযোগে কূটকাচালির মাত্রা কিছুটা কমেছে সিরিয়ালে। শিমুলের শাশুড়িরও নরম মনের কিছুটা আভাস পেয়েছে দর্শক।
এবার সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে শাশুড়িকে তীর্থে পাঠানোর জন্য নিজের গয়না বন্ধক দিতে চলেছে শিমুল। পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে তীর্থে যাওয়ার শখ হয়েছে শিমুলের শাশুড়ির। কিন্তু তার জন্য কুড়ি হাজার টাকাও গলছে না দুই ছেলের কারোর হাত দিয়েই। শাশুড়ির দুঃখ দেখে শেষে শিমুল নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়, নিজের বালা বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করবে সে। সেই টাকায় তীর্থ করতে যাবে তার শাশুড়ি।
সেই মতো বিপাশাকে বলে লুকিয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় শিমুল। কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্য শুনেই ক্ষেপে যায় বিপাশা। যে মানুষটা কিনা উঠতে বসতে কথা শোনাচ্ছে তাকে, এত অপমান করছে, তার জন্য নিজের গয়না বন্ধক দেবে শিমুল! তখন শিমুল বলে, তিনি যতই যা করুক না কেন, তিনি তো তার শাশুড়ি। তাছাড়া তাঁর নরম মনের পরিচয়ও শিমুল পেয়েছে বলে জানায়। ৮০ হাজার টাকার বালা বন্ধক রেখে ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারে শিমুল। কিন্তু বাড়ি থেকে লুকিয়ে বেরোনোর ফল কী হবে? গয়না বন্ধক রাখায় ফের শিমুলকে ভুল বুঝবে না তো তার শাশুড়ি? আগামী পর্বেই মিলবে সব প্রশ্নের উত্তর।