Fishing Business: এই মাছ চাষ করেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ, ভাবতে হবে না রোজগার নিয়ে
করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এক্ষেত্রে যেমন অনেকেই সবজি ও বিভিন্ন ফল চাষের কথা ভাবেন, তেমনই কেউ আবার বিভিন্ন মশলাজাত দ্রব্যের চাষ করার কথা ভাবেন। তবে এসবের থেকে কিন্তু মাছের চাষ ব্যাপকভাবে লাভজনক হতে পারে। কারণ মাছের বিক্রিজাত দাম অন্যান্য জিনিসের থেকে অনেকটাই বেশি হয়। আর এখতরে শিং মাছের চাষ একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে। কারণ শিং মাছের চাহিদা বাজারে সবসময়ই বেশি থাকে। তাই বছরের কোনো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা। পাশাপাশি এই মাছের দাম রুই, কাতলা সহ বিভিন্ন কার্পের থেকেও বেশি হয়। তাই ব্যবসায় লাভের পরিমান বেশি থাকে।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই শিং মাছ চাষের পদ্ধতি। মূলত নিবিড় চাষে শিং মাছ ব্যাপক ফলন দিয়ে থাকে। নিবিড় চাষের অর্থ হল বিভিন্ন জাতের মাছ এক জায়গায় চাষ করা। সব মাছ জলের সব গভীরতায় থাকেনা, তাই এই নিবিড় চাষ একটি লাভজনক পদ্ধতি। এদিকে শিং মাছ জলের নীচে পাঁকের সঙ্গে থাকে। তাই এই মাছকে অন্যান্য কার্পের সঙ্গেও চাষ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে নিয়মিত সেই পুকুর বা ডোবার জল রক্ষণাবেক্ষণ করাও জরুরি। জল নোংরা হয়ে গেলে শিং মাছের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে কেন শিং মাছের চাষকে লাভজনক বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে। শুরুতে যদি আপনি আপনার পুকুরের এক আলাদা অংশে ৪ গ্রাম ওজনের শিং মাছের ৫০০০টি পোনা মজুদ করেন, তাহলে পাঁচ মাস পর আহরণকৃত মাছের গড় ওজন হয় ৫২ গ্রাম। এখেয়ারে প্রতি অংশে ২৮০ কেজি করে মোট উৎপাদন হয় প্রায় ৯০০০ কেজি। এবার প্রতি কেজি শিং মাছ বাজারে ২৮০ টাকা করলেই রোজগার হবে ২৫ লক্ষ টাকা।