Price Hike: আচমকা দাম বাড়ছে হেঁসেলের এই প্রয়োজনীয় জিনিসটির, মাথায় হাত পড়তে পারে মধ্যবিত্তদের
বর্তমানে জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষার শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছিল নাগরিকদের কাছে। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে দিনের পর দিন। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মধ্যবিত্তদের কাছে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই জিনিসগুলি। তবে সেগুলির দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এখন আবার চোখ রাঙাচ্ছে রান্নার তেলের দাম। বাংলায় মূলত সর্ষের তেলে রান্না হয়ে থাকে। তবে এতে কোলেস্টেরল বেশি থাকায় অনেকেই ব্যবহার করেন সাদা তেল। এক্ষেত্রে যেমন রয়েছে সূর্যমুখী তেল, তেমনই রাইস ব্র্যান তেল, সোয়াবিন তেল ও অলিভ ওয়েলের ব্যবহার বেশি হয় আজকাল। এই সবগুলি সাধারণভাবে সাদা তেল নামেই পরিচিত।
আর এবার তেই সাদা তেলের দামেই লাগতে চলেছে আগুন। যার ফলে তেল কুমতে গিয়ে দাম শুনে আঁতকে উঠতে পারেন আপনিও। উল্লেখ্য, অলিভ ওয়েলের দাম বিগত কয়েকমাসে বেশ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। তা এবার আকাশছোঁয়া হতে চলেছে। বাজারদরের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলের দাম প্রতি লিটারে ৮৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১,১০০ টাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি এই দাম ১,৫০০ টাকায় পৌঁছতে পারে। এদিকে পোমেস অলিভ অয়েলের বর্তমানে দাম রয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা প্রতি লিটার। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই দাম লিটার প্রতি ৮০০ টাকাতেও উঠতে পারে।
এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ব্যাপকভাবে জনজীবনে পড়তে পারে। কারণ একদিকে সাদা তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস যাদের রয়েছে, তেল কিনতে গিয়ে তাদের হাতেও ছ্যাঁকা লাগতে পারে। অন্যদিকে হোটেল বা রেস্তোরাঁতেও মূলত সাদা তেল ব্যবহার হয়। তাই পিৎজা, বার্গার সহ বিভিন্ন খাবারের দামও বাড়তে পারে এর ফলে।