Farming: টব ছাড়াই এই পদ্ধতিতে বাড়িতে করুন করলা চাষ, হবে বাম্পার ফলন
করলা হলো আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি তেতো সবজি। এটি সাধারণত গরমকালের সবজি। তবে আপনি যদি চান সারা বছরেই এটি চাষ করতে পারেন। এই সবজি চাষ করতে গেলে অনেক জায়গার প্রয়োজন নেই বাড়িতে বা ব্যালকনিতে টবেই চাষ করুন করলা। তবে অনেক সময় টবে করতে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে বড় বড় পলিথিন ব্যাগে কিন্তু সহজে চাষ করতে পারেন, এছাড়া সিমেন্টের ব্যাগেও চাষ করতে পারেন।
করলা প্রায় সব মাটিতে চাষ করা যায়, তবে ভালো করলা পেতে ব্যবহার করুন বেলে দোআঁশ মাটি, গোবর সার, সাথে দিতে পারেন রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া পদার্থ দিয়ে তৈরি সার। এর জন্য মাঝারি বা বড় আকারের টব বা ড্রাম ব্যবহার করুন।
কোনো নার্সারি থেকে করলার বীজ কিনে নিয়ে আগের দিন রাত্রে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তৈরি করা মাটিতে খানিকটা গর্ত করে বীজগুলো দিয়ে দিন।
করলা সারা বছর ধরেই চাষ করা যায়, তবে এর উপযুক্ত সময় হল মাঘ মাস থেকে ফাল্গুন মাস এবং বৈশাখ মাস থেকে জৈষ্ঠ মাস।
বীজ দেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত তাতে জল দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় জল না জমে থাকে। গাছ আস্তে আস্তে একটু বড় হলে মাচা করে দিতে হবে।
পাতাগুলি খেয়াল রাখতে হবে যদি পোকা ধরে তাহলে প্রাকৃতিক কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন। যে জায়গাটাতে করছেন সেই জায়গাটা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়।
গাছের গোড়ায় মাঝেমাঝে সরিষার খোল পচা জল দিয়ে দিন। টবের মাটি কয়েক দিন অন্তর অন্তর নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। মাটিতে কোনরকম আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। করলা গাছের অপ্রয়োজনীয়’ হলুদ এবং শুকনো হয়ে যাওয়া পাতা কেটে দিতে হবে।
করলার মধ্যে আছে প্রচুর ঔষধি গুণ। নিয়মিত করলা খেলে নানান রকমের রোগ বালাইয়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রক্তের সমস্যা, খাবারের অরুচি, চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে করলার জুড়ি মেলা ভার। করলা, শশা, টমেটো যদি নিয়মিত জুস করে পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনি সুগার নামক এর রোগটিকে একেবারে সহজেই টাটা বাই বাই বলতে পেরেছেন।