whatsapp channel
Hoop Story

নন্দিনীর কাছে কেন বকা খান তাঁর মা-বাবা!

বর্তমানে নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly) পাইস হোটেলের মাধ্যমে রীতিমত বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ‘স্মার্ট দিদি’ নামেই তাঁর পরিচয়। পাশাপাশি নন্দিনী ফুড ভ্লগিং-এও মন দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর প্রত্যেক গতিবিধির উপর নজর থাকে সকলের। করোনাকালে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন নন্দিনী। সেই সময় তাঁর বাবার ব্যবসাতেও লোকসান হয়। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নন্দিনীর বাবা অফিস পাড়ায় খোলেন একটি ভাতের হোটেল। কিন্তু গোড়ায় সেই হোটেলে বিকিকিনি ভালো হত না। একসময় হাল ধরেন নন্দিনী। ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়ে। একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী ইউটিউবারের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় নন্দিনীর ভাতের হোটেল। বর্তমানে নন্দিনী হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। তবে প্রায়ই মা-বাবার উপর সকলের সামনেই চেঁচিয়ে ওঠার ভিডিও ভাইরাল হয়ে নন্দিনীকে ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই মনে করেন, বেড়ে গিয়েছে তাঁর অহঙ্কার। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নন্দিনী স্বয়ং।

নন্দিনী নিজেও জানেন, বৃদ্ধ মা-বাবার উপর গলা চড়িয়ে চিৎকার করা মোটেই শোভনীয় নয়। একজন ইউটিউব ভ্লগারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নন্দিনী বললেন, সকাল থেকেই ওই ভ্লগার দেখছেন, নন্দিনীর মা তাঁর কাছে বকুনি খেয়ে চলেছেন দোষ করার জন্য। তবে নন্দিনীও বকুনি খান। কিন্তু কিছু ইউটিউবারের ফুটেজ চাই তাঁদের ভিডিও ভাইরাল করার জন্য, ভিউ-এর জন্য। ফলে তাঁরা শুধু মা-বাবার উপর নন্দিনীর চেঁচিয়ে ওঠার ভিডিওটুকুই তোলেন। প্রকৃত ঘটনা কেউ জানেন না বা জানার চেষ্টা করেন না।

ইদানিং বারবার তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ‘অহঙ্কারী’ তকমা। নন্দিনী বললেন, এটা তাঁর ব্যবসার জায়গা। কেউ এসে যদি নিজের প্রফিট লাইন খোঁজে ও তাঁর প্রফিট লাইন না দেখে , তাহলে রাগ হয় নন্দিনীর। এমনকি তাঁর মা-বাবা যখন তাঁকে প্রফিট দিচ্ছেন না অথবা ভুল করছেন, তখন তাঁরাও বকা খাচ্ছেন নন্দিনীর কাছে।

ইতিমধ্যেই সাউথ কলকাতা ও নিউ টাউনে তাঁদের পাইস হোটেলের শাখা খোলার ঘোষণা করেছেন নন্দিনী। পুজোর আগেই সেরে ফেলতে চান দীর্ঘদিনের প্রেমিক রুদ্র দাস (Rudra Das)-এর সাথে বাগদান। নন্দিনীর সাথে রুদ্রর বিয়েও হয়ে যাবে চলতি বছরেই।

whatsapp logo