লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), নামটা শুনলেই এখন সর্বপ্রথম রাজনীতির কথাই মাথায় আসে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। বর্তমানে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে উঠেছেন লকেট। কিন্তু তারও আগে থেকে তাঁর পরিচয় কিন্তু একজন অভিনেত্রীর। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা এক সময় দাপট দেখেছে লকেটের। কিন্তু তথাকথিত নায়িকা হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর।
বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও অভিনয় করেছেন লকেট। সিনেমাতেও তাঁর অভিনয় দক্ষতার পরিচয় পেয়েছেন দর্শক। কিন্তু যে সময়ে বাংলা সিনেমায় অভিনেত্রীরা পা রাখছেন স্রেফ নায়িকা হওয়ারই লক্ষ্যে, সিনেদুনিয়ায় অভিষেক করছেন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন নিয়ে, সেখানে লকেটের কিন্তু বেশিদিন নায়িকা হয়ে থাকা হয়নি। অধিকাংশ ছবিতেই নয় দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্র নয়তো চরিত্রাভিনেত্রী হয়েই থেকে গিয়েছেন তিনি। এমনটা হল কেন?
একবার অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের টক শো ‘অপুর সংসার’এ অতিথি হয়ে এসে এমনি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন লকেট। উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, তাঁর প্রথম দিকের ছবিগুলি ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘একটু ছোঁয়া’, ‘মানুষ অমানুষ’, এই ছবিগুলিতে দ্বিতীয় লিড ছিল। তাঁর মতে, সে সময়ে নির্মাতারা নতুনদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ভয় পেতেন। তখন যারা ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়দেরই নায়ক নায়িকা করা হত। দ্বিতীয় লিড না পেলে নায়িকার বোনের চরিত্র দেওয়া হত।
এভাবেই গতে বাঁধা হয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন লকেট। অথচ পরে যখন নতুন ধরণের ছবি তৈরি হওয়া শুরু হল তখন আবার নতুনদের সুযোগ দিতে লাগলেন নির্মাতারা। লকেট বলেন, ২০০৭ সালে ‘ছ-এ ছুটি’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। তখন থেকেই বাংলা ছবির ধারা বদলাতে শুরু করে। নায়ক নায়িকার বদলে চরিত্র বেশি গুরুত্ব পেতে শুরু করে। সে সময়ে খুব বেছে বেছে সিনেমা করেছেন লকেট। জনপ্রিয়ও হয়েছে সেগুলি। এটাই তাঁর কাছে বড় কথা বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।