Vastu Tips: সংসার ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে, অশান্তি এড়াতে ভুলেও বাড়িতে রাখবেন না এই গাছ
একটা বাড়ি, সংসার বলতে শুধু সেই বাড়ির সদস্যরাই নয়। বাড়িতে থাকা প্রতিটি জীব এবং জড় বস্তুও সংসারের অংশ। এই সব কিছু মিলিয়েই বাস্তু (Vastu)। তাই বাস্তু শাস্ত্রের মতে, প্রতিটি জিনিসেই শুভ বা অশুভ অর্থাৎ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে যা সংসার এবং তার সদস্যদের উপরে পড়ে। বাস্তুশাস্ত্রে গাছকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিছু কিছু গাছকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়, তেমনি কিছু কিছু গাছ বাড়িতে রাখলে অশুভ প্রভাব বৃদ্ধি পায়। কি কি গাছ রয়েছে এই তালিকায়, জানতে হলে প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
বাড়িতে কিছু কিছু গাছ লাগানোকে শুভ বলে মানি হয় বাস্তুশাস্ত্রে। তুলসি, অ্যালোভেরার মতো গাছগুলি ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সংসারে শুভ প্রভাব ছড়ায়। একই রকম ভাবে কিছু এমন গাছ রয়েছে যেগুলি বাড়িতে থাকা মানে অশুভ, অশান্তিকে আমন্ত্রণ জানানো। বাস্তুশাস্ত্র বলে, গৃহস্থ বাড়িতে কখনোই এই গাছগুলি রাখা উচিত নয়। এই তালিকায় প্রথমেই আসে ক্যাকটাস এর নাম।
অনেকেই ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে বাড়িতে ক্যাকটাস লাগান। যত্ন কম নিতে হয় বলে জনপ্রিয়তাও আছে ক্যাকটাসের। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে ক্যাকটাস বাড়িতে রাখায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। যেহেতু ক্যাকটাসে প্রচুর কাঁটা থাকে তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে পরিবারের সদস্যদের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্যাকটাস বাড়িতে অশান্তি ডেকে আনে। এতে কলহ বাড়ে।
মেহেন্দি খুব শুভ বলে মানা হয়। তাই অনুষ্ঠানে মেহেন্দি করার চল রয়েছে। অথচ জানলে অবাক হবেন, মেহেন্দি গাছ বাড়িতে রাখা অশুভ মানা হয়। তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে পরিবারের সদস্যদের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্যাকটাস বাড়িতে অশান্তি ডেকে আনে। এতে কলহ বাড়ে। মেহেন্দি খুব শুভ বলে মানা হয়। তাই অনুষ্ঠানে মেহেন্দি করার চল রয়েছে। অথচ জানলে অবাক হবেন, মেহেন্দি গাছ বাড়িতে রাখা অশুভ মানা হয়।
বাবলা গাছ বাড়িতে রাখা মানে নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনা, এমনটাই মানা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। বাবলা গাছেও কাঁটা থাকে। মনে করা হয়, এই গাছ পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য বিঘ্নিত করে।
তেঁতুল সংসারের নানা কাজে লাগে। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র বলে, বাড়িতে তেঁতুল গাছ থাকলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বারবার। স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এমনকি পরিবারে বিচ্ছেদও ডেকে আনে।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।