Beauty Tips: ব্যথা-যন্ত্রণা ছাড়াই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করুন, জেনে নিন সহজ টিপস
হাতে, পায়ের লোম কেউ পছন্দ করে না। শুধুমাত্র মুখের লোম নয় হাতে, পায়ের লোম অনেক সময় আমাদের অনেক বিরক্তিতে ফেলে দেয়। ছোট ছোট জামা কাপড় পরলে তখন সারা পায়ের লোম দেখা গেলে, সত্যিই খুব অস্বস্তি হয়। কিন্তু এর জন্য বাজার চলতে কোন নামিদামি ক্রিম নয়, আপনার রান্নাঘর থেকে বেছে নিতে পারেন কয়েকটা জিনিস।
চলুন দেখে নিন, কিভাবে মাত্র তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করেই আপনি আপনার হাতে, পায়ের লোম একেবারে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। শুধু শুধু পার্লারে গিয়ে একগাদা টাকা আপনাকে খরচ করতে হবে না। তাই আর দেরি না করে আমাদের পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন। রান্নাঘর থেকে ঠিক কোন কোন জিনিসগুলো নিলে আপনি মাত্র তিনটি পদ্ধতিতেই আপনি আপনার হাতের এবং পায়ের লোমকে একেবারে চিরতরে টাটা, বাই বাই বলতে পারবেন।
১) বেসন, চালের গুঁড়ো – বেসন, চালের গুঁড়োকে খুব ভালো করে গরম জলে মিশিয়ে ফেলুন। আর এই মিশ্রণটি পায়ে এবং হাতে খুব ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন। প্রথমে পা এবং হাতকে খুব ভালো করে গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তারপরে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ পরে প্রায় এক ঘন্টা পরে শুকিয়ে গেলে কোনো একটি রুমালের সাহায্যে উল্টোদিকে টেনে টেনে পরিষ্কার করে ফেলুন।
২) বেকিং সোডা – গরম জলের মধ্যে বেশ খানিকটা বেকিং সোডা খুব ভালো করে গুলে নিন। তার মধ্যে নিয়ে নিন বেশ খানিকটা পাতিলেবুর রস আর সবকিছুকে একটা ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণকে সারা শরীরে বা হাতে, পায়ে লাগিয়ে বেশ অনেকক্ষণ রেখে দিতে পারেন। তারপরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন বেকিং সোডা আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে। সাথে সাথে অবাঞ্ছিত লোমের গ্রোথকে একেবারে কমিয়ে দেবে।
৩) মসুর ডাল- বহু প্রাচীনকাল থেকে মসুর ডাল রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। মসুর ডাল বাটার সঙ্গে পরিমাণ মতন কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে হাতে এবং পায়ে খুব ভালো করে লাগিয়ে প্রায়, এক ঘন্টা রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা জলে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।