Winter Heel Care: ফাটা গোড়ালির যত্ন নিন স্টেপ বাই স্টেপ, মাখনের মত নরম হবে পা
গায়ে, ঠোঁটের, মুখের ত্বকের তো যত্ন নিচ্ছেন। পায়ের যত্ন কি নিচ্ছেন? অনেকেই হয়তো বলবেন না। এখনো পর্যন্ত পায়ের যত্ন নেওয়ার শুরু করেনি। কিন্তু ভুলটা এখানেই করছেন। পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত সবার আগে। সারা বছরই পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। কিন্তু শীতকাল পড়ার আগে যত্নটা একটু বেশি করে নেওয়া দরকার। পুজোর সময় শুধু ত্বকের যত্ন নিলে হবে? পায়ের ত্বকেরও তো যত্ন নিতে হবে।
বিশেষ করে যাদের অতিরিক্ত গোড়ালি ফাটে, এমনকি রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে, তারা কিন্তু অবশ্যই থেকে সামান্য উঠে যায়, তখন সবার সামনে ওরকম ফাটা গোড়ালি পার করে বেশ লজ্জা লাগে। আর লজ্জা পেতে হবে না মাত্র Hoophaap এর পাতায় পাঁচটি টিপস ফলো করুন। আর গোড়ালিকে একেবারে সুন্দর নরম তুলতুলে করে তুলুন।
১) পা ভালো করে পরিষ্কার করুন – আমরা অনেকেই অনেক সময় পা ভালো করে পরিষ্কার করি না। আর পা ফাটার পরে সেই নোংরা আমাদের পায়ে জমে। আমাদের সবচেয়ে বেশি নোংরা থাকে পায়ের গোড়ালিতে। যেহেতু রাস্তায় বেরোলে যদি পা ঢাকা জুতো না পড়া হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি নোংরা আমাদের গোড়ালিতেই লাগে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি আমরা এই পায়ের গোড়ালিকে। তাই পায়ের গোড়ালিকে খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
২) গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন – গরম জলের মধ্যে পাতিলেবুর রস, বেকিং সোডা এবং নুন ফেলে দিন তার মধ্যে পা কিছু না হলেও, 10 থেকে 15 মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। পা ঘষার একটি ব্রাশ নিয়ে অথবা পুরনো কোনো টুথব্রাশ নিয়ে গোড়ালিকে মাঝে মধ্যে জল থেকে তুলে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন, আবার গরম জলে ডুবিয়ে দিন।
৩) তেল ম্যাসাজ করুন – পরিষ্কার করার পরে পায়ে খুব ভালো করে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। সর্ষের তেল, নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েলকে একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন তার মধ্যে এই দিয়ে দিন কয়েক ফোটা গ্লিসারিন এবং এই তিন তেল থেকে খুব ভালো করে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ভালো করে ম্যাসাজ করে রাত্রেবেলা শুয়ে পড়ুন। অবশ্যই এখন অবশ্য খুব বেশি ঠান্ডা পড়েনি, ঠান্ডা পড়লে পায়ে সুতির মজা করে ফেলুন।
৪) স্ক্রাবিং নতুন জরুরী – সপ্তাহে তিন দিন রাতে পা ভালো করে পরিষ্কার করার পরে স্ক্রাবার অত্যন্ত জরুরী এর জন্য নিতে হবে। তিন থেকে চার টেবিল চামচ কফি পাউডার, তিন থেকে চার টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো তিন থেকে চার টেবিল চামচ বড় দানার চিনি। এর সঙ্গে নিতে হবে পরিমাণ মতো পাতিলেবুর রস খুব ভালো করে প্রত্যেকটি উপকরণকে মিশিয়ে নিয়ে পায়ের গোড়ালি পায়ে পাতা খুব ভালো করে মাসাজ করতে হবে। প্রায় দশ মিনিট ধরে মেসেজ করুন। দুটি পায়ে এরপর কুড়ি মিনিট এইভাবে রেখে দিন। তারপরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন একবার করার পর দেখবেন পা নরম হয়ে গেছে।
৫) ক্রিম বেসড মশ্চারাইজার লাগান – প্রতিদিন পা ভালো করে পরিষ্কার পর করার পরে তেল ম্যাসাজ করার পরে আরেকটি কাজ হল ভালো করে পায়ের ময়েশ্চারাইজার লাগানো। এর জন্য আপনি বাড়িতেই একটি ক্রিম বানিয়ে নিতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল, দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং দুই থেকে তিন টেবিল চামচ দুধের সর। প্রতিটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে পায়ের পাতায় গোড়ালিতে ভালো করে মাসাজ করে রাত্রিবেলা শুয়ে পড়তে পারেন। তবে যদি অস্বস্তি হয় তাহলে অন্তত এক ঘন্টা রেখে পা ধুয়ে তারপরে শুতে পারেন।
পা ফেটে একেবারে চৌচির হয়ে গেলে পায়ের উপর যদি কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে এইভাবে পায়ের যত্ন নিতে পারেন। পায়ের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন নরম হয়ে যাওয়া কলা কলাকে যদি ফেলে দেন, তাহলে একেবারেই ফেলে দেবেন না ব্যবহার করুন ফেটে যাওয়া পায়ের যত্নের জন্য। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবু এবং অ্যালোভেরা জেল। তাই আর দেরি না করে চটপট ওভাবে পাতায় দেখে নিন কিভাবে নরম হয়ে যাওয়া কলা, অ্যালোভেরা জেল এবং পাতিলেবু নিয়ে যত্ন নেবেন আপনার সুন্দর পায়ের।
১) পাকা কলা – পাকা কলা দিয়ে ত্বকের যত্ন করতে পারেন বিশেষ করে ফেটে যাওয়া গোড়ালির যত্নে ব্যবহার করুন পাকা কলা। পাকা কলাকে খুব ভালো করে চোখে দিয়ে গোড়ালির ওপরে লাগিয়ে অন্তত আধঘণ্টার রেখে দিন। পাকা কলার সঙ্গে যদি প্রয়োজন মনে করেন মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য কয়েক খোজে গ্লিসারিন তাহলে কিন্তু পা ফাটার সমস্যা একেবারে চলে যাবে। তাই আর দেরি না করেই হোমমেড মেডিসিন, একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
২) পাতিলেবুর রস – শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে কম দামে পাতিলেবু কিনতে পাওয়া যায়, ভালো করে ঘষতে পারেন, এতে পা সুন্দর পরিষ্কার থাকবে এবং সাথে সাথে ফাটার সমস্যা অনেকখানি চলে যাবে।
৩) অ্যালোভেরা জেল – অ্যালোভেরা জেল ত্বকের সুন্দর নরম এবং ময়েশ্চারাইজার রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে যদি সামান্য পরিমাণে গ্লিসারিন মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন, তাহলে পা ফাটার সমস্যা চিরতরে ঠিক হয়ে যাবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।