Onion Price: অজানা কারণে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ! বাজারে বাজারে ঘুরেও কারণ খুঁজে পেল না টাস্ক ফোর্স
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজো পেরিয়ে গিয়েছে। আর এই উৎসবের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পর দিন দিন অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার।
তবে এই পুজোর পর বাঙালির নাভিশ্বাস বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কারণ পুজোর পরেই আচমকা অগ্নিমূল্য হয়ে গিয়েছে হেঁসেলের এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটি। বলা যায়, পেঁয়াজের নয়, পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসছে বাজারমুখী খরিদ্দারদের। কারণ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে চালানোটাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ পেঁয়াজ ছাড়া কিছুই হয়না।
এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় সব বাজারেই ছবিটা একরকম। যেখানে পুজোর আগে অবধি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হত ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে, সেখানে পেঁয়াজের দাম এখন গিয়ে ঠেকেছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। শুক্রবার পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কোচবিহারে রয়েছে ৭০ টাকা, মালদা এবং দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলায় রয়েছে ৭০-৮০ টাকা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশিরভাগ বাজারে রয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ৮০ ছুঁই ছুঁই।
আর এই বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করতে রাজ্যের তরফে গঠিত হয় একটি টাস্ক ফোর্স। তারা বাজারে বাজারে ঘুরে এর কারণ সন্ধান করছিলেন। কিন্তু পুজোর পর যেখানে রাস্তা বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছিল, পুজোর বহুদিন কেটে গেলেও তা কিন্তু বাগে আনা যায়নি। এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, “আলু পেঁয়াজকে এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টের বাইরে করে দেওয়ার ফলে,সরকার বাজারে কিছু জিনিসে লাগাম টানতে পারছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি সিদ্ধান্ত যেগুলো কিছু সংখ্যক খুচরা ব্যবসায়ীকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে,কোটি কোটি সাধারণ ক্রেতাকে বিপাকে ফেলেছে।”