শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী আশির দশকে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)-র সাথে তাঁর জুটি ছিল সুপারহিট। একাধিক হিট ফিল্ম দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তাঁরা। আশি ও নব্বইয়ের দশকের কিছুটা অংশ জুড়ে টলিউডে রাজত্ব ছিল শতাব্দীর। তবে বিয়ের পর অভিনয় থেকে সরে যান তিনি। আগ্রহ ছিল রাজনীতিতে। বর্তমানে বীরভূমের সাংসদ হিসাবে শতাব্দী যথেষ্ট সক্রিয়। তবে সাম্প্রতিক কালে আবারও একটি ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যেই একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে শোনা গেল তাঁকে।
সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হচ্ছে। অনুষ্ঠানের সন্ধ্যায় শতাব্দীর কন্ঠে শোনা গেল তাঁর অভিনীত ফিল্ম ‘গুরুদক্ষিণা’-র গান ‘ফুল কেন লাল হয়’। এই ফিল্মে শতাব্দীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তাপস পাল (Tapas Paul)। বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)-র সুরে ‘ফুল কেন লাল হয়’ গানটি গেয়েছিলেন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। সেই সময় এই গানটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। এত বছর পর শতাব্দী মঞ্চে উঠে গানটির মৃত্যু ঘোষণা করলেন। এদিন শতাব্দীর পরনে ছিল প্যাস্টেল সবুজ রঙের শাড়ি ও গাঢ় সবুজ রঙের ব্লাউজ। অত্যন্ত গম্ভীর মুখে গান শুরু করেছিলেন শতাব্দী। তাঁর কন্ঠে গান শুনে এই গানটির প্রকৃত সুর ভুলে যাওয়ার মতো অবস্থা নেটিজেনদের।
ভিডিওতে মিউজিশিয়ানদের দিকে তাকিয়ে অল্প হাসতে দেখা গেল শতাব্দীকে। কিন্তু বোঝা গেল না, কে তাঁকে এই গান গাইতে বলেছেন! নেটিজেনদের একাংশ ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন, গান শুনে মরে যেতে ইচ্ছা করছে। অনেকে লিখেছেন, এটি শতাব্দী স্পেশ্যাল ভার্সন। উঠে এসেছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)-এর প্রসঙ্গও। অনেকেই লিখেছেন, রচনার গান যথেষ্ট সুন্দর।
অনেকে লিখেছেন, কবিতাটি বেশ ভালো হয়েছে। শতাব্দী এক্সপ্রেস দূর্ঘটনায় আপাতত বেসামাল নেটিজেনদের কান থেকে রক্ত বেরোনোর যোগাড়।