Albert Kaboo: সারেগামাপা জিতেই মেয়ের কাছে কাবো, চোখে জল নিয়ে ফুল দিলেন ইভলিনের কবরে
ব্যক্তিগত জীবনে বড় ঝড়ের মোকাবিলা করেও জাতীয় মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন অ্যালবার্ট কাবো (Albert Kaboo)। কালিম্পং এর ছেলে প্রথাগত কোনো সঙ্গীত শিক্ষা ছাড়াই নিজের কণ্ঠের মাধুর্যে মন জয় করেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষের। বাংলা সারেগামাপার মঞ্চে দর্শক তথা বিচারকদের মন জিতে নিলেও খেতাব হাতছাড়া হয় তাঁর। এরপরেই ব্যক্তিগত জীবনে বিরাট ঝড় ওঠে কাবোর। মাত্র আট মাস বয়সের একরত্তি কন্যা সন্তানকে হারান তিনি। সেই কষ্ট বুকে চেপে রেখেই সঙ্গীতের জাতীয় মঞ্চে বিজয়ীর পুরস্কার জেতেন কাবো। আর জয় হাসিল হতেই নিজের ছোট্ট মেয়ের কাছে ফিরলেন বাবা।
মুম্বইয়ে জি সারেগামাপার মঞ্চে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিজয়ীর পুরস্কার উঠেছে অ্যালবার্ট কাবোর হাতে। স্ত্রী পূজা ছেত্রীর কথাতেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। আট মাসের হাড্ডাহাড্ডি টক্কর শেষে সবাইকে হারিয়ে সেরার সেরা হয়েছেন কাবো। গত ২৭ নভেম্বর বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতেই রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। ফুলের মালা পরিয়ে, গান গেয়ে স্বাগত জানানো হয় কাবোকে। পরের দিন সকালে নিজের প্রিয়জনদের কাছে যান তিনি।
কাবোর দাদু, ঠাকুমা, দিদির কবরের কাছেই ছোট্ট মেয়ে ইভলিনের কবর রয়েছে। সেখানেই গিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী পূজা। চোখে জল নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে মেয়ের কবর সাজিয়ে দেন কাবো। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্বর্গ, আমার মেয়ে এভেলিনের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে। আমার দাদু, ঠাকুমা, কাকা, দিদি সবার সঙ্গেই দেখা করলাম। সবাইকে খুব মিস করি। সকলকে আমার প্রার্থনায় রাখি’। কাবোর এই কাজে খুশি নেটিজেনরাও। এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয় তিনি কত বড় মনের মানুষ, এমনটাই মন্তব্য করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, প্রথাগত ভাবে সঙ্গীতশিক্ষা হয়নি কখনো কাবোর। কালিম্পংয়ে টুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তার ফাঁকেই চলত গান। এমনকি হিন্দি উচ্চারণও তাঁর খুব একটা স্পষ্ট ছিল না। বাংলা সারেগামাপা তে দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। তবে হিন্দি শো তে বিজয়ী হয়ে দশ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার জিতেছেন কাবো।
View this post on Instagram