Hoop Tech

Electric Car: মধ্যবিত্তদের নাগালেই ইলেকট্রিক গাড়ি! বাম্পার ফিচার্স রয়েছে TATA-র এই গাড়িতে

এখন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও যে হারে বেড়ে গিয়েছে পেট্রোপণ্যের দাম, তাতে করে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি রাখা আজকাল দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই ভারতীয় গাড়ির বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য হওয়ার কারণে সকলেই এখন ই-ভেহিকেল-এর দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। দু’চাকা থেকে চার’চাকা, সবেতেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। আর এই বাজারে বেশ ভালো নামডাক হয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি দেশি কোম্পানির। সম্প্রতি সম্প্রতি ই-ভেহিকেলের বাজারে এসেবহে কিছু ভিনদেশি কোম্পানিও।

তবে ভারতীয় বাজারে যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে এবং সমানতালে চাহিদা বাড়ছে ই-ভেহিকেলের, তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে এখনো ইলেকট্রিক গাড়ির ঘাটতি রয়েছে দেশীয় বাজারে। আর এবার সেই ঘাটতি পূরণ করতে কোমর বেঁধে ময়দানে হাজির হয়েছে বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টাটা (Tata)। ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে এবার দারুন একটি গাড়ি লঞ্চ করে অন্যান্য সব কোম্পানিদের টক্কর দিতে বাজারে নাম লেখাচ্ছে এই কোম্পানি। এই ইলেকট্রিক গাড়িটি হল Tata Tiago EV। এই প্রতিবেদনে দেখে নিন, কি কি ফিচার্স রয়েছে এই স্কুটারে।

● ইঞ্জিন: এই গাড়িতে কোম্পানি একটি শক্তিশালী ব্যাটারি প্যাক দিচ্ছে। এই গাড়িতে রয়েছে একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারির ক্ষমতা ২৯.৩ কিলোওয়াট ঘন্টা। পাশাপাশি এই গাড়ির বৈদ্যুতিক মোটরটির শনটি উৎপাদন ক্ষমতা ৭৩.৫ বি এইচ পি। সেই কারণে গাড়িটিতে রয়েছে বাম্পার রেঞ্জ। একবার চার্জ করলে এই গাড়িটি ৩১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে।

● ফিচার্স: ফিচারের দিক থেকে টিয়াগো ইভিতে টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রিক ওআরভিএম, ক্রুজ কন্ট্রোল, পুশ বাটন স্টার্ট/স্টপস লেদারেট সিট, অটো হেডল্যাম্প-সহ আরও একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এই গাড়িতে রয়েছে ফাস্ট চার্জার, যা এই গাড়িকে সম্পূর্ণ ভাবে চার্জ করতে সময় নেবে ৩ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট। ১০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ হতে গাড়িটি সময় নেবে মাত্র ৫৭ মিনিট।

● দাম: বর্তমানে ভারতের বাজারে এটি অন্যতম সস্তা মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যারা বেশি দাম দিয়ে ই-ভেহিকেল কিনতে পারবেন না, তারা এই গাড়িটি দেখতে পারেন। কারণ গাড়িটির এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ৮ লক্ষ টাকা।

Related Articles