Hoop Life

Guava Leaves: বাড়িতে পেয়ারা গাছ রাখলে দূরে থাকবে বহু রোগ, পেয়ারা পাতাতেই রয়েছে ধন্বন্তরীর গুন

দিন দিন মানুষের শরীরে রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। আগেকার দিনে মানুষের শরীরে যেসব রোগ খুব কম হত, আজকাল সেইসব রোগ যেন সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণেই এখন ডাক্তারের চেম্বারে ও হাসপাতালে ভিড় লেগেই থাকে। এখন এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে সাধারণ সব উপসর্গের ওষুধ রাখা হয়না। তার একমাত্র কারণ হল এটাই যে এখন যেকোনো বয়সে, যেকোনো মানুষ, যেকোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

আর এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলেন যে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে আমাদের হাতের কাছেই। আমাদের এই বৈচিত্রময় প্রকৃতির বুকেই অনেক সমস্যার সমাধান রয়েছে। যেমন পেয়ারা পাতাতেই এমন গুণ রয়েছে যা আপনাকে নানাভাবে উপকৃত করতে পারে। বলা যায়, নানা বড় সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই পেয়ারা পাতা। তবে কষ্ট করে সেটি খেতে হবে আপনাকে, তাহলেই হবে কাজ। এখন একনজরে দেখে নিন পেয়ারা পাতা থেকে কোন কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে।

● ওজন কমাতে: আজকাল ওবেসিটি’র সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভুগছেন। তবে পেয়ারা পাতা থেকেই এর সমাধান মিলতে পারে। কারণ পেয়ারা পাতায় অনেক রকম বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে যা আমাদের শরীরের কার্বোহাউড্রেট শোষণ রোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে চিনি, ক্যালোরির পরিমাণ কমায়। এইভাবে আমাদের শরীরের ওজন কমে।

● সুগার কমাতে: পেয়ারা পাতা সুগার কমানোর এক অব্যর্থ টোটকা হতে পারে। কারণ পেয়ারা পাতা খেলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাঁদের উচ্চ মাত্রার সুগার রয়েছে তাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। এ ছাড়াও পেয়ারার পাতায় থাকা হাইপোলিপিডেমিক শরীরে লিপিডের পরিমাণ কমায়।

● রক্তের গুনাগুন বজায় রাখতে: বেশিরভাগ ভারতীয় মহিলা হিমোগ্লোবিনের সমস্যায় ভোগেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন মহিলাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। তবে পেয়ারা পাতা এর সমাধান করতে পারে। কারণ পেয়ারা পাতায় থাকা অ্যান্টি-হেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে।

● শুক্রাণু বৃদ্ধিতে: আজকাল শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ পুরুষ। তবে পেয়ারা পাতা তাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Related Articles