Hoop Story

পাহাড় আর জঙ্গলের জমাটি মেলবন্ধন, কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে কম খরচে ঘুরে আসুন সহজে

প্যাচপ্যাচে গরম হোক, ঝমঝম বর্ষা হোক কিংবা কনকনে শীত। বাঙালির ঘুরতে (Vacation) যাওয়ার আনন্দ এবং ইচ্ছা কখনো ফিকে হয়নি, হবেও না। সময়ে সময়ে বদলে যায় ঘুরতে যাওয়ার গন্তব্য। কখনো হাতছানি দেয় পাহাড়, কখনো ডাকে সমুদ্র। আবার কখনো গহীন অরণ্যে হারিয়ে যেতে মন চায়। সেই মতো জায়গা পছন্দ করে মানুষ। তবে কিছু কিছু জায়গা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে সারা বছরই সেখানে ভিড় থাকে। তাই কেউ যদি নিরালায় সময় কাটাতে চান সেটা পাবেন না।

আপনিও যদি এই তালিকাতেই থাকেন, শীতের ছুটির জন্য কাছাকাছির মধ্যে কোনো সুন্দর, শান্ত পরিবেশের খোঁজে থাকেন, তবে এই প্রতিবেদন আপনারই জন্য। এখানে একই সঙ্গে পেয়ে যাবেন পাহাড় এবং লেক। পাহাড়ের গায়ে ঘেঁষে ড্যামের ধারে খেলনা বাড়ির মতো সুন্দর সুন্দর কটেজে ছুটি কাটাতে চাইলে এবার শীতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে দুর্গাডিহি। বাঁকুড়ার কাছেই এই স্থানটিতে একবার আসলে আর চেনা কর্মব্যস্ত জীবনে মন চাইবে না সহজে।

ড্যামের ধারেই পাহাড়ের উপরে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা রয়েছে এখানে। রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির কটেজ। কটেজ গুলিতে রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও। তাই শীতকালে না গিয়ে গরমকালে বা অন্য সময়ে যেতে চাইলেও যেতে পারবেন স্বচ্ছন্দে। পাহাড়ের উপরে সুন্দর সুন্দর কটেজ। পাশেই ড্যাম। ঠাণ্ডা জলে পা ডুবিয়ে বসতে চান দু দন্ড? সেটাও পারবেন। চারপাশের সবুজ প্রকৃতি, ড্যামের ঠাণ্ডা জল নিমেষে দূর করে দেবে সব ক্লান্তি। বেড়িয়ে আসতে পারেন পাশের সোনাঝুড়ি জঙ্গলেও।

ঘুরতে যাওয়ার সঙ্গে যেটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেটা হল খাওয়াদাওয়া। আর শীতকাল মানেই তো পিকনিক। জানিয়ে রাখি, এখানে কিন্তু খাওয়ার ব্যবস্থাটাও মন্দ নয়। ড্যামের টাটকা মাছ তো রয়েছেই, পাশাপাশি পাওয়া যাবে দেশি মুরগির ঝোলও। হাতে দুদিন সময় নিয়ে গেলে এখানকার শান্ত পরিবেশ আর জমিয়ে খাওয়াদাওয়াই নিমেষে মন ভালো করে দেবে। এবার প্রশ্ন হল, যাবেন কীভাবে দুর্গাডিহি? সাঁতরাগাছি থেকে বাঁকুড়াগামী যেকোনো ট্রেন ধরে গিয়ে নামুন বাঁকুড়া স্টেশনে। সেখান থেকে একটা গাড়ি ধরেই পৌঁছে যাবেন দুর্গাডিহি। খরচ মোটে ৭০ টাকা। আর এসি কটেজে থাকার ভাড়া ১৮০০ টাকা।

Related Articles