ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়ায় বর্তমানে মেগাস্টারদের মধ্যে অন্যতম হলেন সলমন খান (Salman Khan)। বর্তমানে দেশীয় ভক্তদের মধ্যে তিনি ‘ভাইজান’ নামেই পরিচিত। তিন দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী কর্মজীবনে, তিনি প্রযোজক হিসেবে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অভিনেতা হিসেবে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। বলিউডের সবচেয়ে বড় তারকা সলমন খানকে বিশ্ব ও ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যবসাসফল অভিনয়শিল্পী বলে আখ্যায়িত করা হয়। ফোর্বস সাময়িকীর ২০১৮ সালের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা ১০০ তারকার মধ্যে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় এবং সারা বিশ্বে ৮২তম স্থান অধিকার করেন।
তবে এই সলমন ভাইজানকে নিয়েই নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে নানা সময়ে। একফিকে যেমন তিনি এখনো বিয়ে করেননি, সেই নিয়ে তো আর কম চর্চা হয়নি। কারণ ভাইজান বয়সের নিরিখে হাফ-সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। তার জীবনে একাধিক প্রেমের গুঞ্জন বারেবারে শোনা গেলেও, তার কোনোটাই শেষমেষ স্থায়ী হয়নি। সেই নিয়ে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। এছাড়াও একাধিকবার নানা কারণে আইনি জটিলতার সামনাসামনিও হতে হয়েছে ভক্তদের প্রিয় এই ভাইজানকে। তবে এসবের ছায়া নিজের কেরিয়ারের উপর পড়তে দেননি সলমন খান।
বলিউডে ভাইজানের অভিষেক হয় ১৯৮৮ সালে। চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবিতে অভিনয় করেন। যদিও এই সিনেমায় একটি গৌণ ভূমিকায় দেখা যায় সলমনকে। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে তার অভিনীত প্রথম ছবি হল ‘ম্যায়নে পিয়ার কিয়া’। ১৯৮৯ সালে এই ছবিতে অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন ভাইজান। এই ছবির পরেই ভাগ্য বদলে যায় অভিনেতার। কারণ এই ছবিতে কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
তবে এই ছবির শুটিংয়ের সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় নির্মাতাদের। কারণ এই ছবির কাজ চলাকালীন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। যদিও এই সিদ্ধান্ত অনেকটা বাধ্য হয়েই নিতে হয় তাকে। কারণ শোনা যায়, বিয়ের আগেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। আর সেই কারণেই এই ছবির পোস্টের শুটিংয়ের দিনেই সলমন খান তাকে দেখে বলেছিলেন যে তাকে মোটা লাগছে দেখতে। যদিও এই সবটাই ছিল স্বাভাবিক একটি বিষয়।