গত 22 শে ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দেব (Dev) ও সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) অভিনীত ফিল্ম ‘প্রধান’। এই ফিল্মে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ফিল্ম ‘কাবুলিওয়ালা’। বক্স অফিসে মুখোমুখি একসময়ের ‘মৃগয়া’ জুটি। মৃণাল সেন (Mrinal Sen) পরিচালিত এই ফিল্ম বদলে দিয়েছিল দুই জনের ভাগ্য। কাছাকাছি এসেছিলেন তাঁরা। তবে শেষ অবধি মিঠুনের সাথে মমতার বিয়ে হয়নি। 1976 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৃগয়া’-কে ঘিরে মমতার একাধিক স্মৃতি রয়েছে। অদ্ভুত ভাবে এই ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ এসেছিল তাঁর কাছে। ‘প্রধান’-এর প্রচারে জি বাংলার গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’-এ এসে মমতার কন্ঠে উঠে এল পুরানো দিনের স্মৃতিচারণ।
এদিন ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌমিতৃষা, দেব, অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty) প্রমুখ। শোয়ের সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) মমতাকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর শৈশব ও প্রথম অভিনয়ের সুযোগের কথা। উদয় শঙ্কর (Uday Shankar) ও অমলা শঙ্কর (Amala Shankar)-এর কন্যা মমতার শৈশব অবশ্য ছিল আর পাঁচজন শিশুর মতোই। আইকনিক শঙ্কর ধারার রক্ত তাঁর শরীরে বইলেও কোনোদিনই তাঁকে কেউই নৃত্যশিল্পী হওয়ার জন্য জোর করেননি বলে জানালেন মমতা। তবে নামী পরিবারের কন্যা হওয়ার কারণে শৈশব থেকেই মমতার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসত। কিন্তু সেই সময়ের আর পাঁচটি বাঙালি পরিবারের মতো ছোট মেয়েকে অভিনয় করতে দিতে রাজি ছিলেন না তাঁর মা-বাবা।
মমতার দাদা আনন্দ শঙ্কর (Ananda Shankar) মৃণাল সেন পরিচালিত তিনটি ফিল্মে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। সেই সময় মমতাকে মৃণালবাবু বলেন, কখনও যদি তিনি অভিনয় করতে চান, তাহলে তাঁর সাথে যেন যোগাযোগ করেন। কলেজে পড়াকালীন মমতার ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। মৃণালবাবুর সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। সেই সময় ‘মৃগয়া’-র জন্য সাঁওতালি মেয়ের চরিত্রের প্রয়োজন ছিল। মমতাকে এই চরিত্রে পছন্দ হয়েছিল পরিচালকের।
অনেকেই জানেন না, মৃণালবাবুর নির্দেশে সাঁওতালি মেয়ের নিখুঁত গায়ের রং ফুটিয়ে তুলতে মমতাকে রোদে পুড়ে কালো হতে হয়েছিল।
View this post on Instagram