whatsapp channel

Lifestyle: সারারাত ভিজিয়ে সকালে খান এই পাতার জল, সত্তর বছরেও শরীর থাকবে তরতাজা

বর্তমান ইঁদুর দৌড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বড্ড বেড়ে গিয়েছে। ডায়াবেটিস (Diabetes), সুগার (Blood Sugar) এর মতো রোগ গুলি এখন আর বয়সের গণ্ডিতে আটকে নেই। তরুণ তরুণীরাও এখন আক্রান্ত হচ্ছে এই…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

বর্তমান ইঁদুর দৌড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বড্ড বেড়ে গিয়েছে। ডায়াবেটিস (Diabetes), সুগার (Blood Sugar) এর মতো রোগ গুলি এখন আর বয়সের গণ্ডিতে আটকে নেই। তরুণ তরুণীরাও এখন আক্রান্ত হচ্ছে এই সমস্ত রোগে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্থূলতা, মেদের সমস্যা। আসলে বর্তমান জীবনধারার জন্যই এত সব সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই সময় থাকতেই সুস্থ জীবনযাপনে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের উপরে নির্ভর করেও সুস্থ থাকা সম্ভব। আর এর জন্য চিরতার (Chirata Plant) উপরে বহু যুগ ধরে ভরসা করে আসছে মানুষ।

স্বাস্থ্যের জন্য চিরতা কতটা উপকারী তা সকলেই জানেন। কিন্তু কী কী উপকার রয়েছে চিরতার, তা জানেন? রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার জল খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিরতার জল খেলে ওজন কমে। এতে রয়েছে মিথানল যা শরীরের মেটাবলিজম হার বাড়ায়। এর ফলে শরীরে ফ্যাট জমতে পারে না। তাই যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য চিরতার জল খুব উপকারী।

পাশাপাশি চিরতায় রয়েছে জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর মতো উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। এতে যেকোনো রোগ থেকে শরীর সুস্থ থাকে। তেতো খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তাই উচ্ছে করলার মতো সবজি বেশি খাওয়ায় জোর দেওয়া হয়। চিরতাও এই তেতো সবজি গুলির মতোই রক্তকে পরিশোধন করে। এতে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিসের মতো সমস্যা থাকলে চিরতার জল খাওয়া ভালো। চিরতা অ্যানিমিয়া দূর করে। পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস রোগ উপশমের সাহায্য করে চিরতা।

চিরতার জল পেট পরিষ্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে। চিরতার জল ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং পেশি কোষের গ্লুকোজ গ্রহণ বাড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে চিরতার জল। ফলে ডায়াবেটিস দূরে থাকে।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই