whatsapp channel
Bengali SerialHoop Plus

ফুলশয্যার বদলে টাকাশয্যা! ট্রোলের মুখে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’

জি বাংলায় এই মুহূর্তে নতুন পুরনো মিলিয়ে একগুচ্ছ সিরিয়াল চলছে। নতুন নতুন বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক শুরু হলেও টিআরপি তালিকায় সেরা দশের মধ্যে মাত্র কয়েকটিই জায়গা করতে পেরেছে। এর মধ্যে যে সিরিয়ালটির নাম না করলেই নয়, সেটি হল ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Bhesechhe)। গত বছরের শেষ লগ্নে জি বাংলায় পথচলা শুরু করেছিল সিরিয়ালটি। শুরুতেই উত্তর বঙ্গের পাহাড়ি দৃশ্যপট মন জুড়িয়েছিল দর্শকদের। গল্প বিশেষ আলাদা না হলেও শ্যামলী আর অনিকেতের জুটিকে দর্শকরা ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছেন। প্রথমে কয়েক সপ্তাহ সেরা পাঁচের মধ্যে থাকলেও এখন টিআরপি বেশ খানিকটা কমেছে।

এই মুহূর্তে শ্যামলীর জীবনের সমস্যাগুলিকে ঘিরেই সিরিয়ালের গল্প আবর্তিত হচ্ছে। কিঞ্জলের প্রেম প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর তার হারিয়ে যাওয়ার দোষ পড়েছে শ্যামলীর ঘাড়ে। জোড়াবাড়ির অভিযোগের দায়ে জেলে যেতে হয়েছে তাকে। শুধু তাই নয়, আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিল শ্যামলী। শেষমেষ পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় অনিকেত। কিন্তু বিয়ের পরে তার জীবনের সমস্যাগুলি কমার বদলে আরো বেড়েছে।

চূড়ান্ত অপমান, অসম্মানে দিন কাটছে শ্যামলীর। অনিকেত সমানে ভুল বুঝে যাচ্ছে তাকে। এখনও কিঞ্জলের হারিয়ে যাওয়ার জন্য তাকেই দায়ী করছে সে। প্রতি মুহূর্তে তাকে অপমান করে চলেছে অনিকেত। কিন্তু এর মধ্যেই একটি দৃশ্যের জন্য ট্রোলের মুখে পড়ল এই মেগা। সম্প্রতি দেখানো হয়েছে অনিকেত শ্যামলীর ফুলশয্যার দৃশ্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শ্যামলীর সঙ্গে এক ঘরে থাকতে রাজি হয়েছে অনিকেত। অথচ ঘরের মধ্যেই আবারো শ্যামলীর উপরে চোটপাট শুরু করে অনিকেত। দেখা যায়, ফুলশয্যার খাটে ফুলের বদলে রাখা থাকে থাকে টাকা। সেই টাকা বিছানো খাটের উপরে শ্যামলীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় অনিকেত।

ভিডিওটি ভাইরাল হতেই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে নেটিজেনরা। একজন ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এমন স্বামী কোথায় পাবো যে ধাক্কা মেরে আমাকে টাকাশয্যার খাটে ফেলে দেবে?’ একজন লিখেছেন, ‘টাকার গদি কথাটা শুনেই আসছি… এতদিনে দেখলাম’। আরেকজন লিখেছেন, ‘দুঃখ একটাই এরকম স্বামী বাংলা সিরিয়াল ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না’। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই